আল-ইমরান শোভন/আবদুস সালাম আজাদ জুয়েল :
করোনার উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক যুবক মারা গেছে। তার বয়স আনুমানিক ৩৩ বছর। সোমবার দিবাগত রাতে করোনার উপসর্গ নিয়ে ওই যুবক সদর হাসপাতালে আসলে সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সদর হাসপাতালের আরএমও ও করোনা বিষয়ক ফোকালপার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, রাত ৩টার কিছু পরে ওই যুবক প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে আসে। রোগীর সাথে আসা লোকজন চিকিৎসককে জানায়, এর দু’দিন আগে রোগী জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। করোনার উপসর্গ থাকায় সন্দেহজনক রোগী হিসেবে রাতেই তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি কর হয়। সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটের দিকে রোগী মারা যায়।
তিনি আরো জানান, করোনা টেস্টের জন্য মৃতের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। মৃতদেহ এখনো হাসপাতালে রয়েছে। করোনার সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তাকে দাফন করা হবে।
মারা যাওয়া যুবকের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিনা এলাকায়। সেখান থেকেই তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
মৃতের স্ত্রী জানায়, তার স্বামী ঢাকায় একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতো। সে ২৪ মার্চ ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মারা যাওয়া যুবক গত কয়েক দিন ধরে বালিয়া ইউনিয়নের রানিরহাট মমিনবাড়ি গ্রামে তার শ্বশুর বাড়ি ছিলেন। সেখান থেকেই তাকে সদর হাসপাতালে আনা হয়।
হানারচর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. আব্দুল কুদ্দুস রোকন জানান, ঢাকায় ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতেন সোহাগ মিজি। গত ২৪ মার্চ বাড়িতে ফেরেন তিনি। কয়েক দিন পর অসুস্থ হলে শ্বশুর বাড়িতে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি আরো জানান, অবস্থার অবনতি দেখা দিলে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালে নিয়ে ভর্ভি করেন স্বজনরা।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৯নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল চৌধুরী জানান, মৃত যুবকের শ্বশুর বাড়ি হলো চাঁদপুর সদর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা সীমান্তবর্তী এলাকায়। যার চাঁদপুরের সীমানা বালিয়া ইউনিয়নের মমিন বাড়ির রানীরহাট বাজার সংলগ্ন ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা ৯নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে হরিনা গ্রাম। ওই গ্রামে মৃতের শ্বশুরবাড়ি।