আদালতে পুলিশের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর : জেলহাজতে প্রেরণ
মোঃ খুরশিদ আলম :
হাইমচরের মিস্টার রাঢ়ী হত্যা মামলার পরিকল্পনাকারী নিহতের আপন বড় ভাই আকতার রাঢ়ীকে গ্রেফতার করেছে হাইমচর থানা পুলিশ। আদালত আকতার রাঢ়ীকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
বিশ্বব্যাপী মানুষ যখন বাঁচা-মরার লড়াইয়ে অবতীর্ণ, কে বাঁচবে কে মরবে তার নিশ্চয়তা নাই ঠিক সেই ভয়ংকর সময়ে সামান্য সম্পদ আত্মসাতের লোভে আপন ভাইয়ের পরিকল্পনায় ভাড়াটে খুনির সাথে ৬ লাখ টাকা চুক্তিতে ছোট ভাইকে খুন করার সংবাদ দেশ-বিদেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। আর এমনি একটি ঘৃণিত ঘটনা সংঘটিত হয়েছে হাইমচরের আলগী দক্ষিণ ইউনিয়নের চরপোড়ামুখী গ্রামে।
হাইমচর থানরি অফিসার ইনচার্জ জানান, মিস্টার হত্যায় ইতিপূর্বে আটক আল-আমিন ও রবিনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সোমবার রাতে মিস্টারের বড় ভাই আকতার রাঢ়ীকে আটক করে মঙ্গলবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পুলিশ আকতারের কাছ থেকে তদন্তের স্বার্থে তথ্য সংগ্রহের জন্য আদালতে আকতারের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে আক্তারকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। তবে আমরা আবারো রিমান্ড চাইব।
এছাড়া ইতিপূর্বে মিস্টার হত্যাকারী আল আমিন রাঢ়ী ও রবিন কাজীকে পুলিশ আটক করে আদালত প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত উভয়কে গাজীপুর কিশোর সংশোধানাগারে প্রেরন করেছে । তারা দু’জন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। হত্যাকান্ডের বিস্তারিত বর্ণনাও দিয়েছে তারা।
গত ২২ এপ্রিল বুধবার বিকেল ৫টায় চরপোড়ামুখীর বাদশা রাঢ়ীর সুপারী বাগানে মিস্টার রাঢ়ীর আপন বড়ভাই আকতারের পরিকল্পনায় ৬ লাখ টাকা চুক্তিতে আল-আমিন, রবিন কাজী ও পলাতক ১জনসহ ৩জন মিলে হত্যা করে লাশ বাগানে ফেলে রাখে।
২৩ এপ্রিল সকালে মিস্টারের লাশ এলাকাবাসী দেখতে পায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশ, ঘটনাস্থলে হত্যায় ব্যাবহারিত রুমাল, লাঠি উদ্ধার করে। ২৩ এপ্রিল মিস্টারের পিতা হাসিম রাঢ়ী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে।
মামলা নং ৬, তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০ খ্রি.।
হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ জানান, পুলিশ হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনে ব্যাপক তদন্ত চালায়। গোপন তথ্য ও সন্দেহজনকভাবে রোববার আল-আমিন (১৬) ও তার জেঠাত ভাগিনা রবিন কাজী (১৬)কে পুলিশ আটক করে। আটকের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আল-আমিন ও রবিন কাজী স্বীকারোক্তি দেয়, নিহত মিস্টারের বড় ভাই আকতারের সাথে ৬ লাখ টাকা চুক্তিতে তারা ৩জন মিলে মিস্টারকে হত্যা করা হয়।