হাজীগঞ্জে দুই দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত এম এ মতিন

জহিরুল ইসলাম জয় :
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের চার বারের সাবেক এমপি, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম এ মতিনকে দুই দফা নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় একটি পাইভেট হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে তিনি। একই দিন বাদ আসর দুই দফা নামাজে জানাজা টোরাগড় মুন্সী বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মতিনের নামাজে জানাযায় সর্বোচ্চ ৫০জন অংশগ্রহণ করতে পারবে। দুই কাতারে ২০-২৫জন করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে। আর জানাজার নামাজ হবে হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড় গ্রামের মুন্সী বাড়িতে। পরে সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, করোনা পরিস্তিতিতে সংক্রমণ এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতি কাতারে ২০-২৫জন দাঁড়াতে পারবে। সর্বোচ্চ ৫০জন মুসল্লী অংশ নিতে পারবেন। সেই নিয়মে মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণ করেছে। আগে থেকে মরহুম এই নেতার বাড়িতে জনসমাগম ঠেকাতে টোরাগড় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি ১৯৪৩ সালের ১৪ মার্চ চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড় গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মরহুম আলহাজ্ব খান সাহেব জুনাব আলী মুন্সী তদানীন্তন পাকিস্তান আইন পরিষদের সদস্য এমএলএ ছিলেন। তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা আনোয়ার হোসেন মিয়া কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন।

হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অধ্যক্ষ ড. আলমগীর কবির পাটওয়ারী বলেন, আমাদের ইচ্ছা ছিল হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ ও শাহরাস্তির ২টি স্থানে মতিন স্যারের নামাজে জানাযা করার। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক বিধিবিধানের কারণে শুধুমাত্র তার বাড়িতে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)