অনৈতিহাসিক : জীবন সুন্দর মৃত্যু ভয়ংকর

মুহম্মদ শফিকুর রহমান :
সাত দশক পার করে মনে হল জীবনের মত এত সুন্দর আমাদের আর কিছু নেই। রইল বাকি মৃত্যু। করোনার অভিজ্ঞতায় যে উপলব্ধিটি হলো তা হচ্ছে সুন্দর মৃত্যু বলে কিছু নেই আমাদের মৃত্যু বলে কিছু নেই। প্রতিটি মুহূর্ত যে মৃত্যু। আতঙ্কিত সে-তো ভয়াবহ। ভয়ঙ্কর কোভিড ১৯ বা করোনা ভাইরাস দেড় মাস ধরে এই সুন্দর পৃথিবীটাকে আতঙ্কের মৃত্যু গহবরে ঠেলে দিয়েছে, এই বুঝি অদৃশ্য অস্পর্শ এক দানব মানুষের হৃদপিন্ড, ফুসফুস, লিভার, চোখ, কিডনি খেয়ে নিঃস্ব করে চলে গেল। এই পৃথিবীর সাতশ কোটি আদম সন্তান আতঙ্কের গহবরে বাস করছে। কেবল আদম সন্তানই নয়, রয়েল বেঙ্গল টাইগারও। আর তখনই একটি গান গাইতে ইচ্ছে করছে:
“এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে
মন যেতে নাহি চায়,
তবুও মরণ কেন
এখান থেকে দূরে নিয়ে চলে যায়
কে জানে কোথায়”

কি এক আতঙ্কের মধ্যে প্রবেশ করলাম আমরা, বনের পশু পাখি। আমাদের আদম সন্তানদের জন্য তবুও কিছু আদম আছে খাবার দিচ্ছে। বনের পশু পাখি জংলি জানোয়ার, জলের হাঙ্গর কুমির মাছ, তাদের জন্যতো কোনো বরাদ্দ নেই। ওরা কথা বলতে পারেনা তাই কাতারবন্দী হয়ে বিক্ষোভ করতে পারেনা। তারপরও দেখা গেছে আমেরিকার এক সাফারি পার্ক থেকে বনের রাজা সিংহের দল রাস্তায় নেমে নিরব ডেমোনেস্টেশন দিয়েছে। ওরা কোন শ্লোগান দেয়নি কিন্তু পুরো সড়কটি অবরোধ করে রেখেছিল।

কয়েকদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় একদল এমপির সাথে আনুষ্ঠানিক কথা বলার সময় সবাইকে যার যার এলাকায় ঘরহীন ভূমিহীন মানুষের তালিকা করার জন্য নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, যার একটু ভূমি আছে তাকে ঘর করে দিতে হবে, যার ভূমিও নেই ঘরও নেই তাকেও ভূমিসহ ঘর করে দিতে হবে। “টাকা পয়সা কোথা থেকে আসবে সে আমি দেখব। বাংলাদেশের একজন মানুষও ঘরহীন থাকবেনা-উই উইল বিট আমেরিকা”।প্রধানমন্ত্রী কথাটি বলছিলেন টোটাল কনফিডেন্সের সাথে।

এমনি একটি চ্যালেঞ্জ দেখেছিলাম বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দিলে সেদিন তিনি ঘোষণা দিলেন “আমরা নিজস্ব অর্থেই বানাবো। যে জাতি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে তাকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনা, পারবেনা”।
সে কোভিড ১৯ বা করোনা ভাইরাস আমাদের দেশে ছোবল মারার আগের কথা। যেদিন থেকে করোনা সংক্রমণ শুরু হলো সেদিন থেকে বাংলাদেশ আর আমেরিকা এক কাতারে দাঁড়িয়ে গেল। কেউ কারো চেয়ে বড় ছোট রইল না, কেউ কারো ধনী-দরিদ্র থাকলো না। সমতল থেকে আমাজন জঙ্গল একইভাবে সংক্রমিত হতে থাকলো। কত প্রাণ চলে গেল আরও কত চলে যাবে সে কেবল আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই জানেন। মানুষের পৃথিবী এখানে অসহায়। বড় বড় মহাপুরুষ বিজ্ঞানী যারা কোন নির্ভরতা ছাড়া হাওয়ার উপর উড়ে বেড়াতে পারেন, গভীর মহাসমুদ্রের কোথায় কি আছে তুলে আনেন,যারা একটা দুইটা বোমা দিয়ে তামাম বিশ্ব ধ্বংস করে দেবার ক্ষমতা রাখেন, কবিরা শব্দের কামান দাগান, কিন্তু এরা কেউ একটা করোনা ভাইরাস হত্যা করতে পারেন না। সবাই কোয়ারেন্টাইনে-আইসোলেশনে।
চিনেছে সবাই
জীবন যে কত সুন্দর
জীবন যে কত আনন্দের
জেনেছি মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে
জেনেছি অবগাহন করে
একেবারে কাছ থেকে।।
মানুষের এই পৃথিবী কোভিড-এর ছিল না
মানুষের এই পৃথিবীর করোনার ছিলনা
হঠাৎ কোথা থেকে এসে
সবকিছু দখল করে নিল
ঘুমন্ত মানুষদের
অভুক্ত কুকুরের
বিড়ালের
এত দাপট যার তার বিরুদ্ধে
থানায় ডায়েরি করা যাচ্ছেনা
ঠিকানা জানা নেই কারো
ঠিকানা অজ্ঞাত
মোবাইল নং প্রাইভেট
ইমেইল নং প্রাইভেট
গুগুলও অসহায় অপরাধী
করজোড়ে দাঁড়িয়ে।।
বিচারপ্রার্থী আমরা সকলে
আদম সন্তান
বনের পশু পাখি জলের মাছ এক কাতারে সবাই
অথচ
কেউ অভিযোগ দায়েরের ঠিকানা
দিতে পারল না
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দিতে পারলেননা
না বাদশাহ সালমান
না হার হাইমেস দ্য কুইন অব ইংল্যান্ড
না ইমরান খা, খালি মাঠে ব্যাট হাতে
না ধুতির কোছা ঘুরিয়ে বাবু মোদি
মগের মুল্লুকের রানী সূচি
সবাই কোয়ারেন্টাইনে।।
হাজার হাজার বোমারু বিমান
ট্যাংক কামান
দূরপাল্লার নির্ভুল মিসাইল
সমুদ্রের গভীর তলদেশে ঘুরে হাঙ্গর তিমি
হত্যা করে
ভয়ঙ্কর অন্ধ সাবমেরিন
সমুদ্রে ভাসিয়ে দেন শিশু আইমানদের
ভুমধ্য সাগর থেকে বঙ্গোপসাগরে।।
কি দোর্দণ্ড প্রতাপে দখল করেন
আফগানিস্তান থেকে ইরাক
তুরস্ক থেকে সিবিয়া
লিবিয়া থেকে ফিলিস্তিন
ভিয়েতনাম লন্ডন থেকে লেটিন আমেরিকা
এত মারণাস্ত্র বানিয়েছেন
জীবন্ত মানুষ আর
মর্তভূমির রক্ত শুষে নিয়ে
একটিও কোভিড ১৯ হত্যা করতে পারেনা
একটিও করোনা ভাইরাস হত্যা করতে পারেনা।।

কেউ কোথাও নেই। মানুষের পৃথিবী এত অসহায় কেউ দেখেনি। কারণ এখানে লড়াই করার জমি নেই অস্ত্র নেই। একাত্তরে আমরা যুদ্ধ করেছি। শত্রু ছিল চেনা দৃশ্যমান। চেনা শত্রু যতই শক্তিধর হোক বুক চিতিয়ে শক্ত করে দাঁড়াতে পারলে শত্রু পবাভূত হবেই। এটাই যুদ্ধের নিয়ম।
এবং বাংলাদেশ কিন্তু রুখে দাঁড়িয়েছে। সামনে রয়েছেন রাষ্ট্রনেতা শেখ হাসিনা পেছনে জাতীর সুসন্তান সকল। জানি এ হাওয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ। ধরা যায়না ছোঁয়া যায়না কথা বলা যায়না কেউ কথা বলেনা এমন অসহায় মানুষের পৃথিবী কেউ দেখেছে কি? শুনেছি শতবর্ষ পূর্বে এমনি এক ভাইরাস পৃথিবীকে গ্রাস করতে চেয়েছিল। সেই শত্রু ছিল চেনা-ওলাউটা। মানুষ তার জন্ম ইতিহাস জানতো। সহজেই তাকে পরাভূত করে করা গেছে। এবারের যুদ্ধে আমাদের সিপাহ সালার করোনার বিরুদ্ধে দেয়াল রচনা সাথে সাথে বিশ্বভ্রম্মান্ডের মালিক মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার, ঘরে বসেই দুইহাত তুলে দোয়া করার আহবান জানিয়েছেন। আল্লাহর ক্ষমা কৃপা ছাড়া আমাদের আর কোনো পথ নেই। সেই সঙ্গে যুদ্ধের কতগুলো নিয়ম কানুন মানতে হবে:
• অযথা ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না।
• নেহায়েত প্রয়োজনে যেতে হলেও ভালো করে সাবান বা লিকুইড হ্যান্ড-ওয়াশ দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে (কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড) তারপর হাতে গ্লাব ও মুখে মাক্স পরে তবেই বেরোতে হবে।
• বাইরে থেকে ফিরে এসে সঙ্গে সঙ্গে পরনের সব কাপড় চেঞ্জ করতে হবে। ভালো হয় সাবান দিয়ে গোসল করলে। সে ক্ষেত্রে হাতে স্যানিটাইজার দেবার আগে অন্য কিছু স্পর্শ করা ঠিক হবে না।
• বেশি বেশি ভিটামিন সি, এ খেতে হবে।এগুলোর মূল্য নাগালের বাইরে হলে লেবু খাওয়া যেতে পারে।
• মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত অভাবগ্রস্থ মানুষ যাদের ১০ টাকা কেজি চালের টিসিবির ট্রাকের লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে বা হবে তাদেরও অবশ্যই হাতে স্যানিটাইজার মেখে, গ্লাভস এবং মাক্স পরে দাঁড়াতে হবে।সেক্ষেত্রেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শ অনুযায়ী কোনভাবেই গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়ানো যাবে না অন্তত তিন ফুট অন্তর অন্তর দাঁড়াতে হবে।
• করোনার উপসর্গ সর্দি কাশি জ্বর মাথা ব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী চিকিৎসাকেন্দ্রে যেয়ে টেস্ট করাতে হবে সবক্ষেত্রে পজেটিভ তা কিন্তু নয়। কিন্তু টেস্ট না করালে বিপদের সম্মুখীন হতে হবে।
• টাইম-টু-টাইম টেলিভিশনের নিউজ দেখে অর্থাৎ টিভির খবরে করোনা সংক্রান্ত আলোচনা ফলো করলে ভালো হয়। বাড়িতে টিভি না থাকলে প্রতিবেশী বা আত্মীয়-স্বজন বা পরিচিত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করলে সঠিক পথ পাওয়া যাবে।
• কোনোভাবেই শারীরিক অবস্থা লুকোনো ঠিক নয়। সমস্যা ফিল করলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
আমাদের উপর আল্লাহর রহমত আছে যে আমাদের একজন সাহসী রাষ্ট্রনেতা দিয়েছেন। তিনি জেগে আছেন বলে আমরা ঘুমোতে পারছি।

কিন্তু তারপরও করোনার মত আরেকটি বড় সংকট হলো মানুষের খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। প্রায় দেড় মাস মানুষের কাজ নেই, ব্যবসা নেই, আয় নেই। মানুষ চলবে কি করে? এটিও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভোলেননি। খাদ্যাভাবের আশঙ্কা দেখা দেবার আগেই প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন এবং একদিন দুদিন পরেই ভিডিও কনফারেন্স বা জাতির উদ্দেশ্যে বেতার-টেলিভিশনে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। প্রতিনিয়ত প্রশাসনের সাথে বসে আলোচনা করে সামনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন।সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রিলিফ বিতরণ বা অভাবী মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ:
• এবার খাদ্য বিতরণের জন্য প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে তার পুরো প্রশাসন এবং স্থানীয় উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার)-এর মাধ্যমে রিলিফ বা ১০ টাকা কেজির চাউল (ডিলারের মাধ্যমে) বিক্রয় করতে হবে।
• রিলিফ বিতরণে কোনভাবেই নয়-ছয় করা যাবেনা।এক্ষেত্রে যে কোনো অনিয়ম কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়েছেন।
• তারপরও একশ্রেনীর নেতা বা জনপ্রতিনিধি আছেন তাদের কানে ওসব ঢোকেনা একটা প্রবাদ আছে “চোর না শোনে ধর্মের বাণী” যাদের কানে ধর্মের বাণী ঢুকেনা মানুষের নির্দেশনাতো তাদের স্পর্শ করেনা বা করবেনা।কাজেই এ ধরনের কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তিনি নেতা বা জনপ্রতিনিধি হন শাস্তির আওতায় আনাই একমাত্র পথ। প্রয়োজনে তাদের স্থানীয় গডফাদার বা গডমাদার-কেও আইনের আওতায় আনা দরকার।

একটা ব্যাপার ভুলে গেলে চলবেনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সততা, ধীশক্তি, কর্মদক্ষতা, দূরদর্শিতা এবং সাহস দিয়ে যেভাবে বাংলাদেশকে নিম্নআয়ের অর্থনীতি থেকে মধ্যম আয়ের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি তথা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছেন টানা এক দশক সর্বোচ্চ জিডিপি মাথাপিছু আয় এবং সে তুলনায় নিম্নগামী মূল্যস্ফীতি কেবল দেশে নয় বিদেশেও উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, গভীর সমুদ্রবন্দর এবং চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছেন এই অবস্থায় দু’চারটা চোর বাটপারের কারণে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হোক কারো কাম্য নয়। আওয়ামী লীগকে নিজ দলের আদর্শ উদ্দেশ্য নেত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী চলতে হবে। দেশে বিরোধী দল যেটি আছে তারা অতখানি ইনফ্লুয়েন্স করার মত নয়। বিএনপি নামক গুলশান-পুরানা পল্টনের যে বিরোধীদল আছে যেটি প্রথম থেকেই মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত । দুই শীর্ষ নেতা মা-বেটা উভয়েই দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত।

একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি মাননীয় শেখ হাসিনার করোনা বিরোধী যুদ্ধের সৈনিক হতে চাই:
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতো
একাত্তরের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
এবার তারই কন্যা শেখ হাসিনা
আমরা একই ঐতিহ্য সারথি
আমরা আলো জলমল অথচ
নিরব নিস্তব্ধ শহুরে জীবন থেকে
সখিনা বিবির কুঁড়েঘরে
হরিদাসীর আঙ্গিনায়
প্রেসক্লাবের কোণের টেবিলে
ফালতু আলাপচারিতায়ও যেতে চাই
শেখ হাসিনা লণ্ঠন হাতে
আমাদের পথ দেখাচ্ছেন
আমাদের কোন ভয় নেই।।
আমরা আনন্দময় মহাসড়কে
হাটতে চাই
লকডাউন ভেঙ্গে ভেঙ্গে।
সখিনা বিবি হরিদাসীরা ক্যামন আছে?
ভালো আছো তো?
আমি কবিতা লিখিনা
আমি কবিতা পড়িনা
আমি কবিতা বুঝিনা
শব্দের কামান দাগাবার হুংকার ছারে
একটা মশাও মারতে পারেনা।।
আমার বন্ধু কবিরা মানুষের কথা বলেন
আমি মানুষের কথা বলতে চাই
আমি কবি নির্মলেন্দু গুনের মত
মানুষকে আলিঙ্গন করতে চাই
আমি কবি হেলাল হাফিজের মত
যুদ্ধে যাবার যৌবন চাই
মিছিলে যাবার যৌবন চাই।।

গত বৃহস্পতিবারের মিডিয়ায় দেখলাম বিএনপি নামক দলটি দুই কোটি দরিদ্র মানুষের মধ্যে রিলিফ বিতরণ করবে। তাদের স্বাগত জানাতেই হবে। তবে কি? বিশ্বাস করা খুবই কঠিন। হয়তো দেখা যাবে যেভাবে দলটি মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত একইভাবে এই খবরটিও হাওয়ার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নাকে মুখে মিথ্যে বলে বলে যারা মনে করে সত্য হয়ে যাবে সেই ব্ল্যাকমেইলিংএর যুগ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।গোয়েরশমরাও মরে পঁচে গলে ফসিল হয়ে গেছে। তাছাড়া ২ কোটি মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে হলে অন্তত পাঁচ লাখ কর্মী লাগবে।সময় লাগবে অন্তত এক মাস। যে দল নির্বাচনে ৩০০ আসনে এজেন্ট দিতে পারে না তারা দুই কোটি মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করবে?
অতএব
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সৈনিকদেরই
করোনার সাথে লড়াই এ
অগ্রগামী হতে হবে
কে আছেন রাইফেল হাতে
মহাসড়ক থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে দিন
আমি দৌড়াতে পারছিনা
সূর্য ওঠার সাথে সাথে আমাকে
অগ্রগামী কাফেলায় যোগ দিতে হবে।।
এ লেখা যখন ছাপা হবে তখন পবিত্র রমজানুল মুবারক শুরু হয়ে যাবে। এক মাসের কঠিন তপস্যা। এ তপস্যায়ও অগ্রগামী হতে চাই:
আমি আনন্দের ফেরিওয়ালা
আনন্দ নেবেন
নেবেন কেউ আনন্দ
আনন্দ সুন্দর তাই জীবন সুন্দর।।

ঢাকা- ২৩ এপ্রিল ২০২০ মুজিববর্ষ
লেখক- এমপি
সাবেক সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক, জাতীয় প্রেসক্লাব
ই-মেইল- balisshafiq@gmail.com

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)