আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাটে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মতলব উত্তরে একটি আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাটের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রকল্পটি মাটি দিয়ে ভরাট করার কথা থাকলেও বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। এমনকি ভরাটে মানা হচ্ছে না নির্ধারিত উচ্চতাও। এমতাবস্থায় স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্প সংলগ্ন নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু কেটে ভরাট করায় ভবিষ্যতে আশ্রায়ন প্রকল্পটি ঝুঁকির মুখে পড়বে।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রকল্প অনুযায়ী উপজেলার বেলতলী পুরনো আশ্রায়ণ কেন্দ্রের পূর্ব পাশে আরেকটি আশ্রায়ণ প্রকল্প নির্মাণ করবে সেনাবাহিনী। তার আগে সরকার কর্তৃক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রায় ১ একর জায়গা মাটি ভরাট করে সেনাবাহিনীকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা।

কিন্তু সরেজমিন দেখা গেছে, প্রস্তাবিত আশ্রায়ণ প্রকল্পের জায়গা ভেকু মেশিন (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে চারিদিকে বেড় দেওয়া হয়েছে। মাঝখানের জায়গায় ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে ধনাগোদা নদী থেকে বালু কেটে ফেলা হচ্ছে। অথচ নিয়ম হলো মাটি দিয়ে ভরাট করতে হবে জায়গা।

অথচ নিয়ম না মেনে ভরাট করার কারনে স্থানীয়রা মনে করেন, পরবর্তীতে হুমকির মুখে পড়বে প্রকল্পটিসহ আশপাশের বাড়ি ঘর ও জমিজমা। তাছাড়া লেবার দিয়ে কাজটি করার কথা থাকলেও করা হচ্ছে ড্রেজার দিয়ে। নিয়মের কোন তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন অনিয়নের মধ্য দিয়েই চলছে প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজ। তাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রকল্পের কাজে এমন দুর্নীতি কাম্য নয় বলছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় জহির উদ্দিনসহ কয়েকজন আশ্রায়ণ প্রকল্পবাসী বলেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু কাটার কারণে পুরনো আশ্রায়ণ প্রকল্পটিও ভাঙনের কবলে পড়তে পারে। আর এমনটা হলে আমরা কোথায় থাকবো, কোথায় আমাদের জায়গা হবে।

এছাড়া স্থানীয় এলাকার লোকজন বলেন, এভাবে বালু উত্তোলন করায় বর্ষা এলেই আমাদের বাড়ি ঘর ও জমি ভাঙন সৃষ্টি হবে। তবে প্রভাবশালীদের ভয়ে এর বেশি কিছু বলতে নারাজ এলাকাবাসী।

মতলব উত্তর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আওরঙ্গজেব এই বিষয়ে বলেন, আশেপাশে মাটি পাওয়া যাচ্ছে না, তাই বালু দিয়ে ভরাট করছে। তাছাড়া এলাকায় এখন শ্রমিক সংকট তাই ড্রেজার ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে নদী থেকে বালু কেন কাটা হচ্ছে জিজ্ঞেস করলে তিনি সঠিক জবাব না দিয়েই এড়িয়ে যান।

এ প্রসঙ্গে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এম জহিরুল হায়াত বলেন, আশ্রায়ন প্রকল্পে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে জানতে পেরে আমি সার্ভেয়ারকে পাঠিয়ে ড্রেজার বন্ধ করে দিয়েছি। এখন কাজটি বন্ধ রয়েছে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন