ইতালিতে বাংলাদেশীরা এখনো ভালো আছেন

এই পর্যন্ত ৩জন বাংলাদেশীর মৃত্যু, আক্রান্ত ৫জন

এস.টি শাহাদাত, (৩০ মার্চ), ভেনিস, ইটালী থেকে :
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া ইটালীতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছেন। দু’-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া পুরো ইতালিতে বাংলাদেশীদের তেমন আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১১ হাজার ৫৯১জন মৃতের মধ্যে বাংলাদেশী রয়েছেন মাত্র ৩জন। করোনায় আক্রান্ত আছেন আরো ৫জন বাংলাদেশী। তবে দেশটিতে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় এবং বিশাল মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত থাকায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।


বিশেষ করে মিলানো সংলগ্ন বেরগামো এবং ব্রেসিয়া শহরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সর্বাধিক হওয়ায় সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশীরা বেশি আতঙ্কিত। এর বাইরেও পুরো ইটালীজুড়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে অজানা ভীতি বিরাজ করছে। কাজ বন্ধ থাকায় অর্থকষ্টে আছেন অনেক বাংলাদেশী। ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত প্রায় সব প্রবাসী।

বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযাায়ী, ইটালীতে এখন পর্যন্ত ৩জন বাংলাদেশী মারা গেছেন। বর্তমানে আক্রান্ত আছেন আরো ৫জন। রাজধানী রোম ও পর্যটন নগরী ভেনিসে এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় খবর পাওয়া যায়নি।


এদিকে সোমবার ইতালিতে লাখ ছাড়িয়েছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮১২জন মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৫৯১জনে। গত একদিনে ইতালিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫০জন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা পজিটিভ হলেন এক লাখ ১ হাজার ৭৩৯ জন। সরকারি কর্তৃপক্ষের বরাতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।


সূত্র আরো জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে ১৪ হাজার ৬২০জন সুস্থ হয়েছেন। তবে প্রায় ৩ হাজার ৯৮১জন করোনা আক্রান্ত রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইতালিতে।


এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিপুল সংখ‍্যক প্রাণ হারােনায় ইতালি সরকার ৩১ মার্চ জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছে। তাছাড়া জনগণকে আর্থিক নিরাপত্তা দেয়ার জন‍্য সরকার দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। আর এই আর্থিক নিরাপত্তার আওতায় রয়েছে সকল প্রবাসীরাও।


অপরদিকে ইতালীতে বসবাসরত বাঙালি কমিউনিটি বিভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করছে, ইতালি সরকারের পাশে দাড়ানোার জন‍্য। যদিও এর পরিমান যৎসামান‍্য তারপরও বাংলাদেশী কমিউনিটির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন‍্যই এই আয়োজন। তবে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ মনে করেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ এই মহাসংকটের সময় সামান‍্য হলেও কিছু মাস্ক ও অন‍্যান‍্য মেডিকেল সরঞ্জাম পাঠিয়ে ইতালীর পাশে দাড়ানো। কারণ ইতালীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইজি মাইও ঘোষণা দিয়েছেন ইতালির আগামী পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করা হবে বর্তমান এই সংকটের সময়ে কারা তাদের পাশে ছিল তার উপর।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)