কচুয়ায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০

সুজন পোদ্দার :
কচুয়ার পাথৈর ইউনিয়নের বড়দৈল গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছে। রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাথৈর ইউনিয়ন ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুকুল ইসলামের সাথে অনেক দিন ধরে দলীয় মত-বিরোধ চলে আসছিল।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি বরাদ্দকৃত চাল সুষ্ঠুভাবে বন্টন করা জন্য স্থানীয় উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. সালমান চৌধুরী কাইয়ুম তার নিজ ফেসবুকে আইডিতে ‘করোনা ভাইরাসের কারণে প্রতিটি ইউনিয়নে কত বস্তা ত্রাণ চাউল আসে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তা প্রকাশ করে দেওয়া একান্ত কাম্য’ দাবি করে একটি স্ট্যাটাস দেয়।

এ নিয়ে রোববার ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল ওই ছাত্রলীগ নেতা সালমান চৌধুরী কাউয়ুম ও মাহমুদুল হাসানের সাথে বাকবিতন্ড হয়। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুকুল ইসলাম বাধা দিলে চেয়ারম্যানের লোকজন তার বাড়ি-ঘর ও দোকান ভাংচুর শুরু করেন।

হামলায় আহতরা হচ্ছেন : ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুকুল ইসলাম. উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মাহমুদুল হাসান, মো. জামাল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা মো. কামরুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা মো. শহীদ উল্যাহ প্রধান, শিরিনা বেগম, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. চাঁন মিয়া প্রমুখ।

খবর পেয়ে সাচার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. আবু হানিফ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুকুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান আমার চাচা তো ভাই মাহমুদুল হাসানকে তুচ্ছ ঘটনায় মারধর করে। এতে আমি বাধা দিলে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তার বহিরাগত লোকজন আমার বাড়ি ও দোকান ভাংচুর করে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে।

তবে হামলা ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়য়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল হামলাকারীরা অন্যদলের লোকজন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা রয়েছে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)