চাঁদপুরে শিশুসহ আরো ১৪জনের করোনা শনাক্ত : মৃত বেড়ে দাঁড়ালো ১৫

রহিম বাদশা :
চাঁদপুরে ৮ বছরের শিশু, শিক্ষক দম্পতি, রাজনীতিবিদ ও কারারক্ষীসহ আরো ১৪জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে শনিবার। এর মধ্যে চাঁদপুর সদরের ১২জন ও হাজীগঞ্জের ২জন। হাজীগঞ্জে নতুন শনাক্ত হওয়া ২জনের ১জন মৃত। মৃতের নাম বিদ্যাসাগর (৭২)। আর মতলব উত্তরে আক্রান্ত ১ ব্যক্তি মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট কেরোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮১জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ১৫জন।

সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ এক প্রেস নোটে জানান, শনিবার মোট ৯৪টি রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ১৪টি রিপোর্ট করোনা পজেটিভ। বাকী ৮০টির রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ। এদিন চাঁদপুর থেকে নমুনা পাঠানো হয়েছে আরো ১১৭টি। এ নিয়ে মোট প্রেরণকৃত নমুনার সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮১৬টি। রিপোর্ট এসেছে ১৪৬৮টি। রিপোর্ট অপেক্ষমান ৩৪৮টি।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরে জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ১৮১জনের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ১০৩, ফরিদগঞ্জে ২৯, মতলব উত্তরে ৮, হাজীগঞ্জে ১১, মতলব দক্ষিণ ৬, কচুয়ায় ৯, শাহরাস্তিতে ১১ ও হাইমচরে ৪জন। নতুন আক্রান্ত নিয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা শত ছাড়ালো।

জেলায় মোট ১৫জন মৃতের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ৫জন, ফরিদগঞ্জে ৩জন, কচুয়ায় ২জন, হাজীগঞ্জে ২জন, শাহরাস্তিতে ১জন ও মতলব উত্তরে ২জন।

এদিকে হাজীগঞ্জে করোনায় মারা যাওয়া বিদ্যাসাগরের বাড়ি মকিমাবাদ এলাকায়। তিনি হাজীগঞ্জ বাজারের বানিয়াপট্টির বণিক স্টোরের মালিক। তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ দিন আগে মারা গেছেন। তিনি নিজ বাসায় ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ার পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন ডাক্তারের করোনা সন্দেহ হওয়ায় তার নমুনা সংগ্রহ করেন। অর্থাৎ মারা যাওয়ার পর তার নমুনা নেওয়া হয়। শনিবার তার পজেটিভ আসে।

অন্যদিকে ঢাকায় গণভবনে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে নিয়োজিত মতলব উত্তরের সুলতানাবাদ ইউনিয়নের ফরিদকান্দি গ্রামের মোসলেম উদ্দিন বেপারী (৬০) শুক্রবার সন্ধ্যায় মারা যান। তিনি আগে থেকেই করোনায় আক্রান্ত রোগী ছিলেন। ঢাকায় নমুনা পরীক্ষা করলেও চাঁদপুরে মৃত্যু হওয়ায় চাঁদপুরের আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর তালিকায় তার নামও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন চাঁদপুর প্রবাহেকে জানান, সদর উপজেলায় নতুন আক্রান্ত ১২জনের মধ্যে নাম, ঠিকানা ও বয়স জানা গেছে। এরা হচ্ছেন- বিটি রোডের ১ যুবক (২৬), তরপুরচন্ডির এক যুবক (২২), তরপুরচন্ডির ১ যুবক (২৯), তরপুরচন্ডির ১ নারী (২১), মিশন রোডের ১ নারী (২১), মিশন রোডের ১ যুবক (২৭), মিশন রোডের এক শিক্ষক দম্পতি (পুরুষ- ৫৩, নারী- ৪৭), গুয়াখোলার ১ শিশু (৮), নতুনবাজার এলাকার ১ রাজনীতিবিদ (৬১), বাবুরহাটের ১ নারী (৩০), চাঁদপুর জেলা কারাগারের ১ কারারক্ষী (৪৬)। তাদের নাম জানা গেলেও প্রকাশ করা হলো না।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্র আরো জানায়, জেলায় আক্রান্ত ১৮১জনের মধ্যে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৪জন। চিকিৎসাধীন আছেন ১৩২জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৮০জন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬৭জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রোগীর সংখ্যা ১৩জন। জেলায় মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ৩৬৬৩জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৬৪৪জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৯জন।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)