চাঁদপুরে করোনা : দেড় মাসে আক্রান্ত ১১১, এক মাসে ৪৯৯!

রহিম বাদশা :
চাঁদপুর জেলায় ৯ এপ্রিল প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর শততম রোগী শনাক্ত হয়েছে এর প্রায় দেড় মাস পর ২২ মে। সেদিন মোট শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা ছিল ১১১জন আর মৃতের সংখ্যা ছিল ১১জন। এরপর গত এক মাসে (২২ জুন পর্যন্ত) রোগী বেড়েছে ৪৯৯জন আর মৃত বেড়েছে ৩৬জন।

অর্থাৎ করোনা শনাক্তের পর জেলায় প্রায় আড়াই মাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৬১০জন। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৪৭জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৬৩জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগী ৪০৫জন। এর মধ্যে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ৩৩জন।

উল্লেখিত পরিসংখ্যানে স্পষ্ট বুঝা যায় চাঁদপুরে কতটা দ্রুত করোনার বিস্তার ঘটছে। অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার। এর বাইরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চাঁদপুরের আরো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যার সঠিক পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে কারো কাছে নেই।

ধারণা করা হচ্ছে, সিভিল সার্জন অফিসের স্থানীয় হিসেবের বাইরেও জেলায় আরো অনেকে উপসর্গে আক্রান্ত হয়ে নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না বা উপসর্গের তথ্য গোপন কররছেন। সামাজিক দূরত্বের বিষয়টিও জেলার কোথাও সঠিকভাবে পালন করছেন না জনসাধারণ।

সব মিলিয়ে করোনার সংক্রমণ সহায়ক এক ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে জেলাজুড়ে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় রেড জোন ঘোষণার প্রস্তাবও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।

সর্বশেষ সোমবার (২২ জুন) চাঁদপুরে আরো ৪৬জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২জন উপসর্গে মৃত। চাঁদপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ নিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৬১০জন। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৪৭জন।

চাঁদপুরে জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ৬১০জনের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ২৪৮জন, মতলব দক্ষিণে ৭৪জন, হাজীগঞ্জে ৬৬জন, শাহরাস্তিতে ৬৪জন, ফরিদগঞ্জে ৬৩জন, হাইমচরে ৩৩জন, মতলব উত্তরে ৩৩জন ও কচুয়ায় ২৯জন।

জেলায় মোট ৪৭জন মৃতের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : হাজীগঞ্জে ১৪জন, চাঁদপুর সদরে ১২জন, ফরিদগঞ্জে ৬জন, কচুয়ায় ৫জন, মতলব উত্তরে ৫জন, শাহরাস্তিতে ৩জন ও মতলব দক্ষিণে ২জন।

সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ আরো জানান, সোমবার পর্যন্ত চাঁদপুর থেকে প্রেরণকৃত নমুনার সংখ্যা ৩৭৭১টি। রিপোর্ট এসেছে ৩১৮৮টি। রিপোর্ট অপেক্ষমান ৫৮৩টি।

অপেক্ষমান এসব রিপোর্ট সময় মতো আসলে আক্রান্তের সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)