চাঁদপুর থেকে বিভিন্ন রুটের লঞ্চ চলাচল শুরু : নারায়ণগঞ্জ রুটে এখনো বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দুই দিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার (২৭ মে) থেকে চাঁদপুরের সাথে সারাদেশের লঞ্চ চলাচল শুরুর প্রস্তুতি চলছে। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ এ দিন সকালে দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট লঞ্চগুলো চলাচলের অনুমতি দেওয়ার পর দুপুরেই চাঁদপুর ঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। বেলা ২টায় লঞ্চ চলাচল শুরুর কথা রয়েছে। তবে চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটের ছোট লঞ্চ চলাচল এখনো বন্ধ রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা কায়সারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চাঁদপুর প্রবাহকে বলেন, চাঁদপুর থেকে লঞ্চ চলাচলের প্রস্তুতি চলছে। বেলা ২টায় চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে এমভি ইমাম হাসান ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। যাত্রীর উপর নির্ভর করে অন্যান্য লঞ্চ চলাচল করবে। তবে এক ইঞ্জিনবিশিষ্ট লঞ্চ চলাচল এখনো বন্ধ রয়েছে। এ কারণে চাঁদপুর-নারায়নগঞ্জ রুটের লঞ্চগুলো চলাচল করবে না।

এর আগে করোনার তীব্র সংক্রমণ প্রতিরোধে টানা ৫০ দিন চাঁদপুরসহ সারাদেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। গত ২৪ মে লঞ্চ চলাচল শুরু হলেও পরদিন ২৫ মে আবার তা বন্ধ হয়ে যায়। ২ দিন পর বৃহস্পতিবার আবার লঞ্চ চলাচল শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার সকালে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে দুই ইঞ্চিনের দূরপাল্লার লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ উপকূল থেকে ভারতে চলে যাওয়ায় এ অনুমতি দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট দূরপাল্লার লঞ্চ সতর্কতার সঙ্গে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এক ইঞ্জিনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।

গত মঙ্গলবার (২৫ মে) বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ ভারতের ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বৈরি আবহাওয়া দেখা দেয়। এজন্য ওইদিন দুপুর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে সব ধরনের নৌযান চালাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিএ।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় গভীর নিম্নচাপ আকারে উত্তর ওড়িশা ও কাছাকাছি ঝাড়খন্ড এলাকায় অবস্থান করছিল। গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন