চাঁদপুর লঞ্চঘাটে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ

শরীফুল ইসলাম :
চাঁদপুর শহরের ব্যাস্ততম এলাকা শহরের উত্তর শ্রীরামদী মাদ্রাসা রোডস্থ নৌ-বন্দরে লঞ্চ সুপার ভাইজার শাহআলম মিজি কর্র্তৃক অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পেশিশক্তি ব্যবহার করে চাঁদপুর নৌ-বন্দরে অবৈধভাবে নির্মান কাজ করা হলেও চাঁদপুর নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নৌ-পুলিশ কোন ধরনের বাধা বা কোন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণকারী ব্যক্তি একদল সহায়তায় ও পেশিশক্তি ব্যবহার করে নিজেদের ইচ্ছা মতো ৩০ ফুট লম্বা ও ১৫ ফুট প্রস্তের স্থাপনা নির্মাণ করতে যেতে দেখা গেছে। মনে হচ্ছে সরকারের এ গুরুত্বপূর্ন নৌ-বন্দরের স্থাপনা দেখার যেন কেউ নেই।

শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের নিশি বিল্ডিং সংলগ্ন এলাকার উত্তর শ্রীরামদী মাদ্রাসা রোডস্থ চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালের ভিতরের সমজিদের নিকটবর্তীস্থানে এ অবৈধ স্থাপনা নির্মান করা হয়। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন চাঁদপুর নৌ-টর্মিনালের দায়িত্বরত বন্দর কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক মো. কাউসারুল আলম।

সরেজমিনে চাঁদপুর শহরের অত্যান্ত ব্যাস্ততম এলাকা শহরের উত্তর শ্রীরামদী মাদ্রাসা রোডস্থ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১৫/২০জনের একদল লোক নিয়ে চাঁদপুর নৌ-বন্দরের জায়গায় নৌ-টার্মিনালের স্থাপনা ঘেসে বন্দরের নিকটে বাঁশ দিয়ে মাচান করে প্রায় ৩০ ফুট লম্বা ও ১৫ ফুট প্রস্তের একটি বড় আকারের স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

নির্মাণ কাজ পরিচালনাকারী ব্যক্তি চাঁদপুর-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী লঞ্চের সুপারভাইজার মো. শাহআলম মিজির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চাঁদপুর বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে এখানে নির্মাণ কাজ করছি।

চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, বিআইডাবিøউ টিসির জায়গায় কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে তাদের অনুমতি সাপেক্ষে ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের সরেজমিনে পরিদর্শন করে অনুমতি দিলে তারপর কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে স্থাপনা নির্মাণ করা যেতে পারে।

এ ব্যাপারে লঞ্চ সুপারভাইজার মো. শাহআলম মিজি জানান, চাঁদপুর বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে এখানে নির্মাণ কাজ করছি। আমার স্থাপনা করা যদি অবৈধ হয়, তাহলে আরো অনেক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হউক।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক মো. কাউসারুল আলম জানান, অবৈধ নির্মানকারীকে তার স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। সে যদি অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না নেয়, তাহলে নৌ-বন্দরের বিধান মতো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সে এখানে কোন অবৈধ স্থাপনা রাখতে পারবে না।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)