চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ঢাকাগামী মানুষের ঢল

শরীফুল ইসলাম :
গার্মেন্টসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে রোববার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত লঞ্চ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যার কারনে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ঢাকার কর্মমূখি মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

এদিকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীর চাপ থাকলে লঞ্চের সংখ্যা কম। যার কারণে অনেক যাত্রীকে ঘন্টার পর ঘন্টা লঞ্চঘাটে অপেক্ষা করতে হয়। তবে অন্যবারের তুলনায় লঞ্চঘাটে এবার প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিন্ট্রেট, বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ঘাটে অবস্থান করেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘাট থেকে প্রত্যেকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ মালিক কতৃপক্ষ।

অন্যদিকে রোববার (১ আগস্ট) থেকে গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান খুলার কারণে শনিবার (৩১ জুলাই) থেকে চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকায় ফিরতে শুরু করে। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারনে পরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মজীবী মানুষের পথে পথে ভোগান্তি পহাতে হয়েছে। অনেকেই বিকল্প মাহন হিসেবে পিকআপ ভ্যান, মাইক্রো ও এম্বুল্যান্সে করে ঢাকায় ঢুকেছে।

লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিল্পব সরকার বলেন, ঘাটে যে পরিমাণ যাত্রী রয়েছে, সেই অনুযায়ী লঞ্চ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী ধারন ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছে লঞ্চ। সরকার নির্দেশনা মেনেই ১২ পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করবে।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক কায়সারুল ইসলাম বলেন, শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলছে। যদিও রাত ১২ টার পর থেকে লঞ্চ চলাচল করার কথা ছিল কিন্তু যাত্রী না থাকায় ভোর সাড়ে ৫ টায় রফ রফ-৭ লঞ্চটি প্রথম যাত্রা শুরু করে। এরপর একে একে সকাল ৯ টা মধ্যে ৭ টি লঞ্চ ছেড়ে যায়। ঘাটে আর একটি লঞ্চ রয়েছে, এর বাইরে আর কোন লঞ্চ ছেড়ে যাবে না।

এদিকে নির্ধারিত সময়ে আগে বেলা ১১টায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় লঞ্চঘাটে আগত অনেক যাত্রী ভোগান্তিতে পড়ে। তখন পর্যন্ত চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে সোনার তরী-৩, রফ রফ-৭, ঈগল-৭, ঈগল-৩, রফরফ, বোগদাদীয়া-১৩, মিতালী-৭, রফরফ-২, সোনারতরী-৩সহ মোট ৯টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

 

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)