ভিন জেলা থেকে এসেছে ৮৩২জন : অধিকাংশ নারায়নগঞ্জের

করোনায় আক্রান্ত সনাক্ত ৩জন, জ্বর নিয়ে মারা গেছেন ২জন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনার জন্য দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহর নারায়নগঞ্জ ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ৮৩২জন চাঁদপুর এসেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠকর্মীদের মাধ্যমে অনুসন্ধানে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ রোববার সকালে এই তথ্য জানান। আগের দিনও একই পরিসংখ্যান জানিয়েছিলেন তিনি।

তালিকা প্রণয়নের কাজ এখনো চলমান থাকায় এই সংখ্যা আরো অনেক বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুধুমাত্র নারায়নগঞ্জ থেকে আগতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে পরীক্ষায় সনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্ত ১জনের সংস্পর্শে আক্রান্ত হয়েছেন ১জন ডাক্তারও। সেখান থেকে আসা ২জন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এর মধ্যে মতলব উত্তরে মারা যাওয়া বৃদ্ধার রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ এসেছে। অন্যজনের রিপোর্ট অপেক্ষমান।

ঢাকা-নারায়নগঞ্জ থেকে আসা আর কতজন স্বাস্থ্য বিভাগের তালিকার বাইরে রয়ে গেছেন তাও বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। আর কতজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে চাঁদপুর এসেছেন সবার টেস্ট করা ছাড়া তা বলাও মুশকিল। এসব লোকের কারণে চাঁদপুর জেলা এখন করোনার চরম ঝুঁকিতে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভিন জেলা থেকে আসা এসব মানুষের মাধ্যমে করোনা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকায় এদের সবাইকে টানা ১৪ দিন বাধ্যতামূলকভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আগত লোকজন যেসব বাড়ি-ঘরে উঠেছেন তার মধ্যে অনেক বাড়ি-ঘর লকডাউন করা হয়েছে গত কয়েক দিন ধরে।

চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, অতি মাত্রায় আক্রান্ত ঢাকা-নারায়নগঞ্জসহ অন্য জেলা থেকে নতুন করে যাতে আর কেউ চাঁদপুরে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চাঁদপুর জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে চলে আসা লোকদের তালিকা করে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করছি।

সিভিল সার্জন রোববার সকালে চাঁদপুর প্রবাহকে জানান, সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ঢাকা-নারায়গঞ্জ থেকে চাঁদপুরে এখন পর্যন্ত ৮৩২জন এসেছে। তালিকা প্রণয়নের কাজ চলমান থাকায় এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী উপজেলাভিত্তিক অন্য জেলা থেকে আসা লোকসংখ্যা হলো : চাঁদপুর সদরে ১৫৬জন, হাইমচরে ৪৯জন, মতলব উত্তরে ১৫০জন, মতলব দক্ষিণে ৫৩জন, ফরিদগঞ্জে ৫১জন, হাজীগঞ্জে ১৩২জন, কচুয়ায় ১০৭জন, শাহরাস্তিতে ১৩৪জন।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)