হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম চলমান

মো. আল আমিন :
কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করায় পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। সংক্রমণের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এই প্রতিষ্ঠানসমূহ কতদিন বন্ধ থাকবে তা ভবিষ্যদ্বাণী করা এই মুহূর্তে খুবই কঠিন।

তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পরপরই হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাসুদ আহাম্মদ শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাস চালু করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনার কয়েকদিন পরেই তিনি কলেজের ফেইজবুক পেইজে লাইভে এসে অভিভাবক ও শিক্ষকদেরকে অনলাইনে লাইভ ক্লাস চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানান।

অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তের পরেই ১২ এপ্রিল সকাল ১১টায় ইংরেজি বিষয়ের ক্লাস গ্রহণের মাধ্যমে প্রথম অনলাইন ক্লাস চালু করেন। ইতোমধ্যে কলেজের ওয়েবসাইটে ও কলেজের অফিসিয়াল ফেইজবুক পেইজে ২টি অনলাইন ক্লাস রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রথম অনলাইন রুটিন প্রকাশ করা হয় ৯ এপ্রিল ২০২০খ্রি. এবং একই মাসের ২৯ তারিখ ২য় অনলাইন রুটিন প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী সপ্তাহের ৬দিন সকাল ১০টা থেকে ১২.২০ মিনিট পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে সকল বিষয়ের অনলাইন ক্লাস চলমান রয়েছে।

কলেজ অধ্যক্ষ মো. মাসুদ আহাম্মদ বলেন, এখন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এটি কোন স্বাভাবিক বন্ধ বা ছুটি নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারি বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকতে পারে। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকেও অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য একটি প্রজ্ঞাপণ জারি করা হয়েছে।

তাই শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা অনলাইন ক্লাস চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। সিদ্ধান্তের আলোকে একটি রুটিন কলেজের অফিসিয়াল ফেইজবুক পেইজে এবং মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যেমে অভিভাবকদেরকে জানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। এই প্রতিক‚ল পরিবেশে অনলাইন ক্লাসগুলো নিয়মিত চলমান রাখার জন্য তিনি শিক্ষকদেরকে ধন্যবাদ জানান।

অনলাইনে ক্লাস নেওয়া কয়েকজন শিক্ষক এই অবসর সময়ে অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারায় নিজেদের কাছে খুব ভালো লাগার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। তারা বলেন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ এটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন। অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের খুবই ভাল সাড়া পাচ্ছি।

উল্লেখ্য, বর্তমানে কলেজটি জুম সফটওয়ারের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস নিচ্ছে। এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের মাধ্যমে খুব সহজেই শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারছে। ৪টি জুম মিটিং আইডি (৪৮৮৪২৬০৮০০, ৯১৭২৬৯৩১৭৮, ৯৪৬৯০৩২৮৯৪, ৪৪২৬৯৩৪৯৪৯) এর মাধ্যমে রুটিন অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা সকল বিষয়ের ক্লাসে অংশগ্রহণ করছে। মিটিং আইডির পাসওয়ার্ড কলেজের ফেইজবুক পেইজ ও গ্রুপ পেইজ থেকে জানা যাবে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন