খালেকুজ্জামান শামীম :
হাজীগঞ্জে কুকুরের কামড়ে শিশু, নারী, বৃদ্ধসহ ২০জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৌরসভাধীন ৭ ও ৮নম্বর ওয়ার্ডের টোরাগড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা ও জলাতঙ্ক প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন : টোরাগড় গ্রামের জাকারিয়ার ছেলে সাইফুল (৩৫), সুমনের ছেলে শিহাব (১৩), জাকিরের ছেলে আব্দুর রহমান (৪), মৃত সিরাজের স্ত্রী রেজিয়া (৭০), মৃত কালু মিয়ার ছেলে বাচ্চু মজুমদার (৬০), মিজানের ছেলে মেহরাজ (৬), শুকুর আলমের স্ত্রী কাজল (৪০), নবি হোসেনের মেয়ে নুসরাত (১০), খোকনের ছেলে ফাহিম (১৬), রাকিবের মেয়ে নুরজাহান (৫)।
স্থানীয়রা জানান, এদিন সকালে একটি কুকুর দৌঁড়ে এসে যাকেই সামনে পেয়েছে এবং বসতঘরে প্রবেশ করে তাকেই কামড় দিয়েছে। এতে শিশু, কিশোর, নারী ও বৃদ্ধসহ ১০জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৮জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্য দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এদিকে কুকুরের কামড়ে ২০জন আহত হওয়ার খবরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অপর দিকে কুকুরটি সবাইকে কামড়ে পালিয়ে যায়। তবে কোন দিকে গিয়েছে, তা নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারেনি।
আহতের মধ্যে বৃদ্ধ বাচ্চু মজুমদার জানান, হঠাৎ করে একটি কুকুর দৌঁড়ে এসে আমাকে কামড়ে দেয়। পরে লাথি দিয়ে পা ছাড়িয়ে আমি দ্রæত হাসপাতালে যাই।
কাজল নামের অপর এক আহত নারী বলেন, আমি রান্না ঘরে কাজ করছি। এমন সময় কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি কুকুরটি এসে আমাকে কামড়াতে থাকে। তখন আমি ডাক-চিৎকার দিয়ে অচেতন হয়ে পড়ি। পরে বাড়ির লোকজন আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. মো. গোলাম মাওলা নঈম জানান, কুকুরের কামড়ে আহতরা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে দুইজনকে সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আহত সবাইকে একটি করে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে এবং প্রথম ডোজের ৩ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ, ৭ দিন পর তৃতীয় ডোজ এভাবে ৫টি ডোজ (প্রতিষেধ ইনজেকশন) নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।