Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটের ফেরি চলাচলে জোয়ার একমাত্র ভরসা

মোরশেদ আলম :
জোয়ারই চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটের ফেরি চলাচলে একমাত্র ভরসা। ভাটায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলেও জোয়ারে ফেরি চলাচল করে। তবে জোয়ারের সময় ফেরিঘাটে পানি বেশি থাকায় যানবাহন পারাপার বিঘ্নি হচ্ছে।

এতে যানবাহন পারাপার ধীর গতির কারণে হরিনা ফেরিঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হচ্ছে। ৫/৬ দিন অপেক্ষা করেও যানবাহন পারাপার হতে পারছে না।

মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। আর ঘাট পানিতে ডুবে আছে। শরীয়তপুর থেকে আসা ফেরি করবি পন্টুনে ভিড়লেও পানির মধ্যে দিয়ে যানবাহন পারাপার হতে গিয়ে যানবাহনে পানি প্রবেশ করে যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে।

চট্টগ্রাম থেকে আসা ড্রাইভার আবু তাহের অভিযোগ করে বলেন, ৪ দিন হয় হরিনা ফেরিঘাটে আসছি। এরা ঠিক মত ফেরি দিচ্ছে না। এরা আগরাম বাগরাম করছে। এরা ঠিক মতো ফেরি চালাচ্ছে না। কবে যে বাড়িতে যাবো তার কোন ঠিক ঠিকানা নাই।

আমরা খুব অসুবিধায় আছি। ঈদ এসে গেছে, আমাদের বাচ্চা-কাচ্চারা চিল্লাচিল্লি করতেছে। ফেরি ভাটায় চলবে না। জোয়ারে চলবে না। কখন যে চলবে। সেটা ঠিক করে দেয় যেন কর্তৃপক্ষ।

ড্রাইভার ফরিদ বলেন, এ পাড়ে এসেছি ৫ দিন হয়। এখনো সিরিয়াল আসে নাই। ঘাটের পরিস্থিতি খারাপ। আবার ভালো ফেরিটা সেটা নাই। সেটা নিয়া গেছে মাওয়া। এই জায়গার যে দূরাবস্থা। এই অবস্থা থাকলে আমরা বাড়ি গিয়ে ঈদ করতে পারবো না।

চালক আমান বলেন, ৬ দিন পর এই মাত্র সিরিয়াল পাইলাম। আবার ঘাটে হাটু পানি পাড় হয়ে ফেরিতে উঠতে হয়।

প্রাইভেট কারের চালক আলম বলেন, চট্টগ্রাম থেকে এসেছি। এখানে ফেরিতে উঠতে গিয়ে ইঞ্জিনে পানি ঢুকে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেছে।

ঠিকাদার প্রতিনিধি জসিম বলেন, স্রোত ও পানি বাড়তির কারণে ফেরি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। আর জোয়ারের সময় ফেরি চলে। আর পরিবহন পারাপারের কারণে এখানে যানবাহন অনেক জমে গেছে। যানজট লেগে আছে। এখানে যদি ভালো ফেরি দেয়া হয় তাহলে যানজট কমে আসবে।

হরিনা ফেরিঘাটের ম্যানেজার ফয়সাল আলম বলেন, ভাটার সময় প্রচন্ড ¯্রােত থাকায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। জোয়ার আসলে ফেরি চলাচল শুরু হয়। আর ফেরি ঘাটের পানি জোয়ারের সময় বেশি থাকায় যানবাহন পারাপারে সমস্যা হচ্ছে। এটা আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি সেটা অচিরেই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

শেয়ার করুন
Exit mobile version