Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

চাঁদপুরে করোনা রোগীর জন্য আইসিইউ, ভেন্টিলেশন ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধা নেই : মৃত্যু বাড়ছে

শরীফুল ইসলাম :
চাঁদপুরে হু হু করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বাড়ছে করোনার মুমূর্ষু রোগীর সংখ্যাও। কিন্তু এসব জটিল রোগীর জন্য অতি প্রয়োজনীয় আইসিইউ, ভেন্টিলেশন ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধা নেই।

এর মধ্যে অক্সিজেন দেওয়ার কাজটি করা হচ্ছে সিলিন্ডার অক্সিজেনের মাধ্যমে। আইসিইউ ও ভেন্টিলেশনের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। ফলে করোনার মুমূর্ষু রোগীরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাড়ছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা।

করোনার রোগী বাড়ার সাথে সাথে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করাতে মানুষের ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন। করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা ও সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসা নিয়ে এসে পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদী না থাকায় মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

হাসপাতালের লোকবল সংকটে নমুনা দিতে যেয়ে সমস্যায় পড়তে হয় মানুষকে। নমুনা পরীক্ষা থেকে শুরু হয় ভোগান্তি, আক্রান্ত হলে চিকিৎসা পর্যন্ত চলে দুর্ভোগ। এর শেষ হয় মৃত্যু অথবা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার মাধ্যমে।

এদিকে নতুন করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক হাবিব উল করিম ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরো ৯জন করনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চাঁদপুরে আক্রান্তের সংখ্যা ২১৯জনে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া প্রতিদিন সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে করনোর উপসর্গ নিয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার সদরের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২জন মারা যান। তারাও আইসিইউ ও ভেন্টিলেশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়।

গত কয়েক দিনে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করনো ও করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রোগীর মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। মুমূর্ষু রোগীরা জেলার সর্বোচ্চ হাসপাতালে এসেও আইসিইউ ইউনিট, ভেন্টিলেশনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এসব সরঞ্জামাদী না থাকায় অনেকেটা ঝুঁকি নিয়েই চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. শাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, চাঁদপুরে করেনো এবং করোনায় আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। মূলত আইসিইউ ও ভেন্টিলেশনের সুবিধার অভাবে বেশির ভাগ করোনা রোগী মারা যাচ্ছে। আইসিইউ সাপোর্ট, ভেন্টিলেশন, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, ল্যাব ও আরটিবিসিআর প্রয়োজন। এসব হলে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা উন্নত হবে।

তিনি আরো জানান, করনোর চিকিৎসায় এসব সরঞ্জামাদী খুব প্রয়োজন। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এসব সরঞ্জামাদীর জন্য আবেদন করেছি। চট্টগ্রাম বিভাগে ফেনী আর চট্টগ্রাম ছাড়া অন্য কোন জেলায় এসব সরঞ্জামাদী নেই। আমরা আবেদন করেছি, বাকীটা কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করে।

Exit mobile version