Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

চাঁদপুরে কোন অধিগ্রহণকৃত জমিতে কোথাও কখনো ডা. দীপু মনি বা তার পরিবারের কোন জমি ছিল না : ইউসুফ গাজী

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে চাঁদপুর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। বুধবারে (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাবেক উপজেলা ও পৌর চেয়ারম্যান আলহাজ মো. ইউসুফ গাজী।

লিখিত বক্তব্যে ইউসুফ গাজী বলেন, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের সাথে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তার পরিবারের কেউ জড়িত নন। শুধু তাই নয়, বিগত ১৩ বছরে ডা. দীপু মনির নির্বাচনী এলাকায় বহু সরকারি স্থাপনা নির্মিত হয়েছে এবং এ সকল স্থাপনার জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। চাঁদপুরে কোন অধিগ্রহণকৃত জমিতে কোথাও কখনো ডা. দীপু মনি বা তার পরিবারের কোন জমি ছিল না। মূলত আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসন ও রাজনীতিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার কিংবা শেখ হাসিনার সরকারকে অপদস্থ করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা বলেও অনেকেই আশঙ্কা করছেন। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ত্যাগ ও সংগ্রামের লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে একজন সৎ ও সফল রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশে বিদেশে পরিচিত ডা. দীপু মনিকে কী উদ্দেশ্যে জমি অধিগগ্রণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে তার মত একজন রাজনীতিবিদের সুনাম ও সম্মান নষ্ট করার জন্য অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে তা উদঘাটিত হওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ডা. দীপু মনির উদ্যোগে চাঁদপুর হাইমচরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়। সেখানে জমির মূল্য শতাংশ প্রতি ৫ হাজার টাকা থেকে কয়েক লক্ষ টাকায় উন্নীত হয়। সরকারের নিকট হতে ক্ষতিপূরণ লাভের আশায় বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে সেখানেও ডা. দীপু মনি বা তার পরিবারের কখনো কোন জমি ক্রয় করেননি। যে বা যারা কোন কোন গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডা. দীপু মনি বা তার পরিবারকে জড়িয়ে জঘন্য মিথ্যাচার করছে তাদের আসল উদ্দেশ্যে উদঘাটিত হওয় অতীব জরুরী। ডা. দীপু মনি ও তার বড় ভাইয়ের কেউ কখনো কোন আর্থিক অনিয়ম বা দুর্নীতির সাথে কোনদিন জড়িত ছিলেন না বা নেই। অধিগ্রহণের জন্য নির্ধারিত জমির মূল্য ইচ্ছাকৃতভাবে বৃদ্ধি করার জন্য বেশী মূল্যে জমি হস্তান্তরের ঘটনা যদি ঘটে থাকে তবে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে ডা. দীপু মনিও মনে করেন। তাছাড়া মূল্য নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট সরকারি ক্রয় কমিটি।

ইউসুফ গাজী বলেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ বিদেশ থেকে নিয়ন্ত্রিত অনলাইন নিউজ পোর্টালে যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তাহা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণবশত বক্তব্য। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে তিনি এধরনের বক্তব্য দিতে পারে না। বিদেশ থেকে যারা দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো অনলাইন নিউজ পোর্টালে তার এই বক্তব্য দেশ ও সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের সামিল। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সরকারের মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক নগ্ন অপপ্রচারকে উসকে দিয়ে তিনি প্রকৃতপক্ষে সরকার ও দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলে আমরা মনে করি।

চাঁদপু প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌসের পরিচালনায় উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, শহীদ পাটওয়ারী, শরীফ চৌধরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, এএইচএম আহসান উল্লাহ, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি আলম পলাশ, চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আল ইমরান শোভন, সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ, প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শান্ত ও ইব্রাহীম রনি, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কে এম মাসুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, প্রিয় চাঁদপুরের সম্পাদক বোরহান উদ্দিন ডালিম, সাংবাদিক মিজান লিটন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিৎ রায় চৌধরী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আলম মিল্টন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলাহজ নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক আলী আরশ্বাদ মিয়াজী, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা মাসুদা নূর খান, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াছসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগি নেতৃবৃন্দ।

Exit mobile version