Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

চাঁদপুরে ঘরে ঘরে জ্বর : বাড়ছে করোনা রোগী : মঙ্গলবার শনাক্ত ৬জন

রোকেয়া বেগম :
চাঁদপুরে গত ক’দিন ধরে জ্বর-সর্দি-কাশি, ঠান্ডাজনিত গলা ব্যথাসহ করোনার বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। প্রায় ঘরেই এখন জ্বরে আক্রান্ত রোগী মিলছে। তবে আক্রান্ত অধিকাংশ লোক নমুনা পরীক্ষা না করায় নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না এই অসুস্থতা করোনার কারণে কিনা।

স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করছেন, সারাদেশের মতো চাঁদপুরেও করোনার চতুর্থ ধাপ শুরু হয়ে গেছে। চাঁদপুরে বেশ কিছু দিন করোনায় আক্রান্ত রোগীর সন্ধান না পাওয়া গেলেও সম্প্রতি জেলায় আবার করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত বাড়ছে। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার একদিনে জেলায় ৬জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনায় আক্রান্ত শনাক্তের হার ১৫%। যা আশঙ্কার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাজেদা বেগম পলিন বলেন, অতি সম্প্রতি বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট চেম্বারে জ্বর-সর্দি-কাশি ও ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্ত রোগী বেড়েছে। এসব উপসর্গের করোনার সাথে মিল রয়েছে। কিন্তু এসব উপসর্গে আক্রান্ত অধিকাংশ মানুষ এখন নমুনা দিয়ে করোনা পরীক্ষা করাচ্ছে না। মূলত হোম কোয়ারেন্টাইন ও হোম আইসোলেশনে থাকার ভয়ে লোকজন এখন টেস্ট করাতে চাচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, জ্বরসহ অন্যান্য উপসর্গে আক্রান্ত লোকজন করোনা টেস্ট করালে প্রকৃত তথ্য পাওয়া যেত। জানা যেত করোনায় আক্রান্তের প্রকৃত অবস্থা। কিন্তু লোকজন করোনা টেস্ট না করানোয় সঠিকভাবে বলাও যাচ্ছে না জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা কতভাগ লোক করোনায় আক্রান্ত। এ কারণে করোনা ভাইরাস আবারো ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। তবে জ্বরে আক্রান্তরা গুরুতর অসুস্থ না হওয়ায় সরকারি হাসপাতালে আসার হার এখনো অনেক কম। এ অবস্থায় জ্বরে আক্রান্ত হলে করোনা টেস্ট করানো, সবাইকে আবারো মাস্ক ব্যবহার বিশেষ করে জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে পরিবার ও অন্যদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ডা. পলিন মনে করেন, চাঁদপুরেও করোনার চতুর্থ ধাপ শুরু হয়ে গেছে।

Exit mobile version