৯৯৯ নম্বরে কলের পর উদ্ধার করলো পুলিশ
কবির হোসেন মিজি :
চাঁদপুর সদর উপজেলার নানুপুর গ্রামে পাওনা টাকা আনতে গেলে দু’জনকে মেরে রক্তাক্ত জখম করে এবং মাথার চুল কেটে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। আহত সৈয়দ আলী (৪০) ও সিএনজিচালক মানিক খানকে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে ওই গ্রামের আফজাল হোসেনের ব্রিক ফিল্ড ও সফিউল্ল্যাহর মুদি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সৈয়দ আলী চাঁদপুর হাজীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রাজারগাঁও গ্রামের আব্দুল আজিজ বেপারীর ছেলে এবং সিএনজিচালক মানিক খান খলিসাডুলী গ্রামের মৃত ফগারী খানের ছেলে। আহত সৈয়দ আলী জানান, আমি ওই এলাকার রিপন নামে একজনের কাছে ১ হাজার টাকা পাই। সেই টাকা আনার জন্য আমি সিএনজি চালককে সাথে নিয়ে ওই এলাকায় গেলে মধ্যতরপুরচন্ডী এলাকার মৃত শামসুল বেপারীর ছেলে আলম কসাই ও সিরাজ পাটোয়ারীর ছেলে মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারী ছিডু কসাই আমাদেরকে চুরির অপবাদ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে দু’জনকে রক্তাক্ত জখম করেন।
তিনি আরো বলেন, তারা দু’জন মিলে আমাদের মাথার চুল এলোপাথারী কেটে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায়। তারা আমাদের কোন কথাই শুনতে রাজি হননি। আমি যার কাছে টাকা পাই সেই রিপনের সাথে আলম কসাই ও ছিডু কসাইয়ের পূর্বের দ্বন্দ্ব রয়েছে। তার জন্য তারা আমাদেরকে এভাবে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেছেন এবং আমাদের দু’জনের মাথার চুলগুলো এলোপাতাড়িভাবে কেটে ন্যাড়া করে দিয়েছেন। পরে পুলিশ গিয়ে আমাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলম কসাইয়ের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি নিজের দোষের কথা এড়িয়ে বলেন, তারা দু’জন ছাগল চুরি করেছে। এ জন্য জনগণ তাদেরকে মারধর করেছে। তিনি আরো বলেন, তাদের মাথার চুল আমি কাটিনি সেগুলো ছিডু কসাই কেটেছে।
চাঁদপুর মডেল থানার এএসআই শেখ মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ট্রিপল নাইনে ফোন করে বিষয়টি চাঁদপুর মডেল থানায় অবগত করলে আমি ঘটনাস্থল থেকে তাদের দু’জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসি। তারা যদি চুরি করার অপরাধ করে থাকে তাও একজন মানুষকে কেউ এভাবে আঘাত করতে এবং চুল কেটে শারীরিক নির্যাতন করতে পারে না।