Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

চাঁদপুরে বিএডিসি ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ : কাঁদা পানিতে ঢালাই!

কবির হোসেন মিজি :
চাঁদপুরে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) চাঁদপুর জোন অফিস কাম ট্রেনিং সেন্টারের নতুন ভবন নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী অফিদ কামরুল আশরাফীর সামনেই নানা অনিয়মে চলছে ভবন নির্মাণ কাজ।

জানা যায়, চলতি বছরের ১৯ জুন চাঁদপুর সদর কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশের (বিএডিসি) জোন অফিস কাম ট্রেনিং সেন্টারের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিএডিসির (ক্ষুদ্রসেচ) সদস্য পরিচালক প্রকৌশলী মো. জিয়াউল হক। তারপর থেকে বেশ কিছুদিন পূর্বে এই নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন এস এ ইঞ্জিনিয়ারিং নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

চাঁদপুর শহরের কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের কার্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জোন অফিস কাম ট্রেনিং সেন্টারের জন্য যে নতুন ভবন নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। সেখানে এস এ ইঞ্জিনিয়ারিং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা কাদাপানিতে ভবনের বেইস ঢালাই করতে দেখা গেছে। একই সাথে নির্মাণ সামগ্রীতে নি¤œমানের ইট-পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া তারা যে লেভেলে এবং যে পরিমাণে বেইস ঢালাই দেওয়ার কথা তারা তা সে নিয়ম মতো না করে ব্যাপক অনিয়ম করে নির্মাণ কাজ করছেন বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা বিএডিসি’র উপ-সহকারী পরিচালক পলাশ চন্দ্র রায় জানান, এই ভবন নির্মাণ কাজ নিয়ে আজ সকালে ঠিকাদারের সাথে আমাদের একটু মনোমালিন্য হয়েছে। কারণ তারা যে লেভেলে এবং যে পরিমাণে বেইস ঢালাই দেওয়ার কথা, তারা সেই পরিমাণে ঢালাই না দিয়ে ৪ ইঞ্চি উপরেই ঢালাই দিচ্ছেন। এ জন্য ঠিকাদারের সাথে আমাদের কিছু মনোমালিন্য হয়েছে।

এসব অনিয়মের বিষয়ে কথা বলার জন্য এস এ ইঞ্জিনিয়ারিং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারের মোবাইল নাম্বার চাইলে প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার বাপ্পি তা দেয়া যাবে না বলে জানান।

এ বিষয়ে ভবন নির্মাণ কাজের সম্পূর্ণ তদারকির দায়িত্বে থাকা চাঁদপুর বিএডিসি’র সহকারী প্রকৌশলী অফিদ কামরুল আশরাফীর সাথে কথা হলে তিনি অনেকটা খারাপ আচরণ করে বলেন, আমি তো এখানে কোনো অনিয়ম দেখছি না। আপনারা কোথায় অনিয়ম পেলেন। এক পর্যায়ে তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলা বিএডিসি’র উপ-সহকারী পরিচালক পলাশ চন্দ্র রায়ের সাথে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে তিনি সেখান থেকে কেটে পড়েন। এমনকি ঠিকাদারের মোবাইল নাম্বার চাইলে তিনি তা দিতে পারবেন না বলে সেখান থেকে দ্রæত চলে যান।

এ বিষয়ে চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত¡াবধায়ক, কুমিল্লা সার্কেল প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, তিনি সাংবাদিকদের সাথে কখনই এমন আচরণ করতে পারেন না। তিনি যদি এমনটা করে থাকেন তাহলে তো অবশ্যই দুঃখজনক। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা এসব অনিয়ম তুলে ধরার কারণেই আমাদের সরকারি কাজগুলো অনেকটা ভালো হচ্ছে। আমি বিষয়টি জেনেছি তাহলে তাদের সাথে কথা বলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।

Exit mobile version