Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

চাঁদপুরে বিচারপতি পরিচয় দেওয়া বিপ্লব ২ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি!

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে ভুয়া বিচারপতি পরিচয়দানকারী বিপ্লব হোসেন প্রধান সাজাপ্রাপ্ত আসামী। তার বিরুদ্ধে পূর্বেই মতলব দক্ষিণ থানায় ৩টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি মামলায় আদালত তাকে ১ বছর করে সাজা প্রদান করেন। একটি মামলা চলমান। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে থানায় আরেকটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। নাম বিপ্লব প্রধান। বয়স ৪০।

বিপ্লব মতলব দক্ষিণ উপজেলায় একটি গ্রিল ও আলমারি তৈরির কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। এই পরিচয় লুকিয়ে উচ্চ আদালতের একজন বিচারপতি পরিচয়ে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। পুলিশ তাকে প্রটোকল দিয়ে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এর আগে ঢাকা থেকে ফেরার পথে বিভিন্ন সুবিধাও নেন তিনি। তবে পুলিশ তাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে জানতে পারে তিনি আসলে বিচারক নন, একজন শ্রমিক। পরে তাকে আটক করে পুলিশ।

২০ মে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার উত্তর দিঘলদী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে প্রতারণার অভিযোগে ওই বক্তিকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত বিপ্লব প্রধান ওই গ্রামের মৃত মাহাবুব প্রধানের ছেলে। তিনি উপজেলা সদরের কলেজ গেট এলাকায় একটি গ্রিল ও আলমারি তৈরির কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। কয়েক বছর আগে তিনি নিজেকে ‘ইঞ্জিনিয়ার’ বলেও দাবি করেন বলে স্থানীয়রা জানান।

পুলিশ জানায়, নিজেকে উচ্চ আদালতের একজন বিচারপতি পরিচয় দিয়ে ঢাকা থেকে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়ে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় রওনা দেন বিপ্লব প্রধান। পথে বিভিন্ন জায়গায় বিচারপতির প্রটোকল সুবিধা নেন। দাউদকান্দি পেরিয়ে এলে কুমিল্লা পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, একজন বিচারপতি তার নিজ বাড়িতে আসছেন। তাকে পুলিশ প্রটোকল দেওয়ার জন্য মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ বিপ্লব প্রধানকে প্রটোকল দিয়ে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। তবে স্থানীয়দের কাছে পুলিশ জানতে পারে বিপ্লব প্রধান বিচারপতি নন। পরে সেখান থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, তার বিরুদ্ধে থানায় পূর্বেই তিনটি মামলা রয়েছে। দুইটি মামলায় সাজা হয়েছে। একটি মামলা চলমান রয়েছে। ওই দিনের ঘটনায় আরেকটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। আটক বিপ্লব হোসেন প্রধানকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ওসি জানান, বিপ্লব প্রধান একটি প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়ে ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হন। পথে পুলিশের কাছে এসে নিজেকে বিচারপতি বলে পরিচয় দেন। পরে থানার চারজন অফিসারকে তার বাড়িতে পাঠানো হলে তারা বাড়ির পরিস্থিতি এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারেন তিনি বিচারপতি নন। পরে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

Exit mobile version