Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

চাঁদপুরে লঞ্চ চলাচলের শুরুতেই যাত্রীদের ঢল : স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

শরীফুল ইসলাম :
করোনা মহামারির সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনের কারণে ২১ দিন পর চাঁদপুর ঘাট ছেড়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চ। তবে লঞ্চ চলাচলের প্রথমদিন চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে গাদাগাদি করে লঞ্চে উঠতে দেখা গেছে যাত্রীদের। এতে করে করোনা সংক্রমন বাড়ার আশংকা থেকেই যায়।

বুধবার (১৪ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৮টি যাত্রীবাহী লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁদপুর থেকে ছেড়ে গেছে। প্রত্যেকটি লঞ্চে যাত্রীদের ভিড় ছিল। যদি বিআইডব্লিউটিএ বলছে, ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাট ছেড়েছে সকল লঞ্চ।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে এমভি প্রিন্স অব রাসেল লঞ্চের যাত্রী নিগার সুলতানা বলেন, লকডাউনের কারনে ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে যেতে পারিনি। এখন লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে, তাই ঢাকায় যাচ্ছি। প্রথম দিন দেখে লঞ্চে মানুষের একটু চাপ বেশি। কতটুকু স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে বুজতে পারছি না।

লঞ্চের সুপারভাইজার আজগর আলী বলেন, ঘাটে একটি লঞ্চ ভিড়া মাত্রই যাত্রীরা লঞ্চে উঠতে হুড়োহুড়ি করে। তারা মনে করেন, লঞ্চে যায়গা পাবে না। তাদের তাড়াহুড়ো করার কারনে স্বাস্থ্যবিধি নষ্ট হচ্ছে। আমরা যাত্রীদের মাস্ক নিশ্চিত এবং হ্যান্ড সেনিটাইজার দিয়ে লঞ্চে প্রবেশ করাচ্ছি। যাতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত না হয়, আমরা সর্বদা মনিটরিং করছি।

চাঁদপুর নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহেদুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিন হিসেবে যাত্রীদের একটু ভিড় বেশি ছিলো। সকাল থেকে আমরা ঘাটে নজরদারি রেখেছি, যাতে যাত্রীদের কোনরুপ সমস্যা না হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মানা হয়। নৌ পুলিশের সদস্যরা প্রত্যেকটি লঞ্চে প্রবেশ করে নজরদারি রেখেছে।

চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মো. কায়সারুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটি লঞ্চে যাতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিক করা হয়, সেই বিষয়ে লঞ্চ সুপারভাইজারদের অবগত করা হয়েছে। এছাড়া ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাতে লঞ্চগুলো ঘাট ছাড়ে সেই বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে। আমাদের পাশাপাশি লঞ্চঘাটে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ডের সদস্যরা কাজ করছে। আশা করি সামনে থেকে যাত্রীদের চাপ কমে আসবে।

Exit mobile version