Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের উদাসীনতায় চরম অসন্তোষ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা জুম অ্যাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে চাঁদপুর জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভার শুরুতেই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলম গতসভার কার্যবিবরী পাঠ করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন হয়। রোববার অনুষ্ঠিত ওই সভায় চাঁদপুর সদর হাসপতাালের তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালনে উদাসীনতায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।

পরে বর্তমান জেলার আইনশৃংখলা পর্যালোচনা করে আগের তুলনায় সন্তোষজনক বলে জানানো হয়। জেলা প্রশাসক সদস্যদের বক্তব্য দেয়ার ফ্লোর দিলে কমিটির সদস্য সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ জেলার করোনা পরিস্থিতি, আক্রান্ত মৃত্যু, গণটিকা হাসপাতালের রোগী ভর্তিসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

সিভিল সার্জন জানান, গণক্যাম্পেইনের প্রথম দিনে ৯২টি ইউনিয়ন এবং ২টি পৌরসভার ১১৭টি কেন্দ্রের টিকা দেয়া হয়েছে। বাকী ১০ হাজার টিকা আমাদের কাছে আছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের আদেশে আমরা সেগুলো দেবো। আর প্রথম পর্যায়ে যারা অক্সফোর্ড কোভিসিল্ড প্রথম ডোজ নিয়েছেন, দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষমান, তাদের জন্য ১২ হাজার ডোজ টিকা আছে।

আমরা শহর এলাকায় তাদের জন্য টিকাটা আলাদা একটি কেন্দ্রে নিতে চাই। আর তখনই হাউজ থেকে প্রস্তাব করেন, হাসপাতালের পাশে রোটারী ক্লাব সংলগ্ন যে সরকারি প্রাইমারি স্কুলটি আছে সেই স্কুলটি টিকার কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার হবে। ওই স্কুলের সভাপতি শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিনিধি অ্যাড. সাইফুদ্দিন বাবু এতে সম্মতি দেন।

সিভিল সার্জন আরো জানান, চাঁদপুরে করোনায় মৃত্যু আগের থেকে তুলনায় কমে এসেছে। কিন্তু হাসপাতালে রোগির সংখ্যা বেড়ে চলছে। তিনি জানান, রোবার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ২২২জন কোভিড রোগীসহ এর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছে।

সিভিল সার্জন জানান, অক্সিজেন প্লান্ট থেকে আর ৫০টি মিটার সংযোগ দেয়ায় এখন ১০০ হয়ে গেছে। আর ৫০টি ১/২ দিনের মধ্যে লেগে যাবে। তিনি বলেন, এই অক্সিজেন সাপ্লাই, আবুল খায়ের গ্রুপসহ ব্যক্তি সাংগঠনিক পর্যায়ে অক্সিজেন সর্বরাহ করায় এর সংকট কমে যাচ্ছে। আর ৫০ টি লাগলে সংকট থাকবে না।

সভায় উঠে আসে ২৫০ শয্যা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার কথা। বিশেষ করে তত্ত্বাবধায়কের সমন্বয়হীনতার অভাব। তিনি এসব গুরুত্বপূর্ণ সভায় হাজির থাকেন না, আবার হাজির থাকলে কথা বলেন না। কি চাহিদা বা কি কি সমস্যা বা যা যা হাসপাতালে করনীয়, তা উপস্থাপন করার কথা তত্ত্বাবধায়কের। কিন্তু তিনি তা করেন না। এতো সুবিশাল হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা দায়িত্বশীল কর্তার এমন উদাসীনতায় সভায় চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক বলেন, আমি উনাকে একাধিকবার খোঁজ নিয়েছি, বলেছি আপনার কি রকম সহযোগিতার প্রয়োজন বলুন, একটা তালিকা পাঠান। আমাদের সাথে সমন্বয় করুন। শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় বা উনার বড় ভাই, যিনি একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং তারা দু’জনই এখানের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে ভাবেন, কাজ করেন। তাহলে আপনার সংকোচটা কোথায়?

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন আহমেদ বলেন, আমি উনাকে ফোন করি, ধরেন না। অথচ তিনি এতো বড় পোস্টে আছেন, যার গুরুদায়িত্ব এই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করা। এই হাসপাতাল নিয়ে কথা বলতে হয় সিভিল সার্জনের কেন?

সভার একপর্যায়ে জানা গেলো, তত্ত্বাবধায়ক ছুটিতে আছেন। হাসানুজ্জামান নামে একজনকে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন কিন্তু উনি যুক্ত হননি। আধাঘন্টা পরে যুক্ত হন হাসপাতালের আরএমও ডা. সাজাউদ্দৌলা রুবেল। তিনি জানান, হাসপাতালের বারান্দাতেও করোনা রোগীকে জায়গা করে দিতে হচ্ছে ফ্লোরে।

Exit mobile version