Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

ডাকাতির মালামাল ভাগাভাগি ও পুলিশকে জানিয়ে দেওয়ায় সহযোগীকে হত্যা!

মোরশেদ আলম :
চাঁদপুরের আলোচিত ক্লুলেস হত্যা মামলার আসামীকে আটক করেছে পিবিআই। এ নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদপুরস্থ পিবিআই কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন পিবিআই’র পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৩নং খাদেরগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম নাগদা পল্লী বিদ্যুৎ সাব-সেন্টার সংলগ্ন এলাকা থেকে আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তখন খবর পেয়ে পিবিআই’র ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অজ্ঞাতনামা ভিকটিমের নাম-পরিচয় শনাক্ত করে। মৃতের নাম মো. দেলোয়ার হোসেন ওরফে মিলন (৩৩)। নোয়াখালীর সুধারাম থানার চর মটুয়া এলাকার জহির আহম্মদের ছেলে তিনি।

পরে পিবিআই’র একটি বিশেষ টিম অভিযান পারচালনা করে হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ও ১৪টি বিচারাধীন মামলার আসামী মো. নুর নবী (৩০) কে আটক করে। তার বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া থানার পশ্চিম বড় দেইল এলাকায়।

এ ঘটনায় গত ১ মার্চ মতলব দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছিল। পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক মীর মাহবুবুর রহমান মামলাটি তদন্ত করছেন। তার নেতৃত্বেই ২৩ মার্চ কুমিল্লার দেবিদ্বার থেকে মামলার অন্যতম আসামী মো. নূর নবীকে আটক করা হয়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাশেদ তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান, মতলবে পাওয়া লাশের পরিচয় পেতে ওই ব্যক্তির মুঠোফোনের সূত্র ধরে তদন্ত হয়। পরে জানা যায় নুর নবীসহ ৫-৬জন এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। তাদেরকে ধরার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করা হয়। তারপরই খুনের রহস্য এবং এর প্রধান পরিকল্পনাকারীকে আটক করতে সক্ষম হই আমরা । শুক্রবার দুপুরে আটককৃত নুর নবীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে চাঁদপুরের আদালতে পাঠানো হয়।

পিবিআই জানায়, নিহত দেলোয়ার হোসেন মিলন আসামী নুর নবীর সহযোগী ছিলেন। একটি ডাকাতির মালামাল ভাগাভাগি এবং পরে পুলিশকে জানিয়ে দেওয়ায় চট্টগ্রাম থেকে ডেকে এনে সহযোগীদের নিয়ে মিলনকে হত্যা করে নূর নবী। আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামী নুর নবীকে চাঁদপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তন্ময় কুমার দে’র আদালতে হাজির করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।

Exit mobile version