Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

তানভীর হুদার বাসায় জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা, আইনগত পদক্ষেপের ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিনিধি
চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মন্ত্রী পুত্র ও চাঁদপুর-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী তানভীর হুদার ঢাকার মহাখালীর বাসায় সম্প্রতি জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করেন বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্ত ড. জালাল উদ্দিন ও তার অনুসারীরা। তাকে না পেয়ে ফেসবুকে নানান অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তানভীর হুদা ফেসবুকে বিস্তারিত বিবৃতি দিয়েছেন এবং নিজেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
তানভীর হুদা জানিয়েছেন, তিনি সাধারণত ফেসবুকে সারাদিন পোস্ট করেন না। কিন্তু এই ঘটনাটি ব্যক্তিগত আক্রমণমূলক হওয়ায় তিনি বিষয়টি শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, ড. জালাল উদ্দিন সহ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তার বাসায় এসেছিলেন। তবে তিনি তখন বাসায় উপস্থিত ছিলেন না। কারণ, তার সন্তান অসুস্থ থাকায় তিনি স্ত্রীসহ সন্তানকে ইউনাইটেড হাসপাতালে দেখাতে গিয়েছিলেন।
তানভীর হুদা বলেন, আপনি আমার বাসায় হঠাৎ দুপুর ১২:৩০ টায় আসবেন এবং আমাকে উপস্থিত থাকতে হবে, এমন নিয়ম কোথায় আছে? আমার বাসায় আসার আগে অবশ্যই আমার সাথে যোগাযোগ করা উচিত ছিল। তিনি আরও বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বাসায় প্রবেশের চেষ্টা এবং ছবি ও ভিডিও তোলার ঘটনা তার এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা ও মানসিক স্বস্তি বিঘ্নিত করেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, বাসায় উপস্থিত ছিলেন তার বৃদ্ধা মা, অথচ হঠাৎ করে কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মী দরজায় হাজির হয়ে ছবি ও ভিডিও তুলেছেন। এতে পরিবারে ভীতি সৃষ্টি হয়েছে। তানভীর হুদা আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের উচিত রাজনীতি মাঠে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রাখা, ব্যক্তিগত বাসা, পরিবারের নিরাপত্তা ও স্বস্তি ক্ষুণ্ণ করা নয়।
ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সিকিউরিটি গার্ড আব্দুল্লা জানান, ড. জালাল উদ্দিনের সঙ্গে ৮–১০ জনের একটি দল বাসায় জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করেন। তিনি ও অন্যান্য কর্মীরা তাদের বাধা দিলেও তারা সন্ত্রাসী আচরণ চালিয়ে রুম ও বিভিন্ন স্থানের ছবি ও ভিডিও করেছেন। বাধা দিলে গালমন্দ ও ধাক্কাধাক্কি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন, সামনের নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে এ ধরনের ঘটনা দোষারোপের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যবহার হতে পারে।
উল্লেখ্য, তানভীর হুদা নিজেই আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রবেশ, ভিডিও-ছবি তোলা এবং পরিবারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা আইনত অপরাধ। এ বিষয়ে আমি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
স্থানীয়রা এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বলেন, নির্বাচনী সময়ে ব্যক্তিগত বাসায় প্রবেশ, ভিডিও-ছবি তোলা এবং সামাজিক মাধ্যমে তা প্রচার করা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বিরুদ্ধ এবং আইনগত দৃষ্টিকোণ থেকে সমালোচনাযোগ্য।

Exit mobile version