Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

স্লুইস গেইট নেই : পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিতে হাইমচরবাসীর দুর্দশা

খুরশিদ আলম :
পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিতে হাইমচরবাসীর জীবনে দুর্দশা নেমে এসেছে। বেড়ি বাঁধের উপরে থাকা ব্রিজে স্লুইস গেইট না থাকায় জোয়ারের পানিতে মৎস্য খামার, পানের বোরজ, ফসলী জমিনসহ মানুষজনের ঘর বাড়ি পানিতে তলিয়ে গিয়ে ক্ষতি হয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।

দুর্দশাগ্রস্থ হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো। উপজেলা পরিষদ থেকে স্লুইস গেইটের জন্য আবেদন করার পর তিন বছরেও নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। এছাড়া ব্রিজ দু’টিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ নির্মাণের কাজও চলছে ঢিমেতালে। তিন দিন অতিবাহিত হলেও এখনো হচ্ছে না বাঁধের কাজ। লোক দেখানো কাজ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করছেন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী।

মহজমপুর এলাকাবাসী জানান, এ ব্রিজের নিচ দিয়ে বৃষ্টির পানি বের হওয়ার একমাত্র জায়গা। এ খাল দিয়ে পানি এসে ব্রিজের নিচ দিয়ে বৃষ্টির পানি নদীতে চলে যায়। আবার জোয়ারের পানি এসে বেড়ি বাঁধের ভিতরের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। তাই এ ব্রিজের মুখে প্রয়োজন স্লুইস গেইট।

স্লুইস গেট না দিয়ে এখানে পানি উঠা-নামার পথ একেবারেই বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এতে বৃষ্টি হলে পানি নামার আর কোন ব্যবস্থা রইলো না। এলাকাবাসী অতি দ্রুত এখানে স্লুইস গেইটের ব্যবস্থা করার জন্য জোর দাবি জানান।

শুক্রবার দুপুরে সিআইপি বাঁধ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে যান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী। এ সময় তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারণে হাইমচরবাসীর আজকের এ দুর্দশা। তিন বছর পূর্বে সিআইপি বেড়িবাঁধের ভিতরে দুইটি খালের মুখে স্লুইস গেইট দেয়ার জন্য আবেদন করার পর আজও নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। যার কারণে জোয়ারের পানি খালের ভিতরে দিয়ে প্রবেশ করে হাইমচরের মানুষজনের শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ ব্রিজের নিচ দিয়ে খালের মধ্য দিয়ে নোয়াখালি, ফরিদগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরেও রয়েছে বন্যার আশংকা। এত গুরুরুত্বপূর্ন এ বাঁধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এত ঢিলেঢালা কাজের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

নূর হোসেন বলেন, আজ তিন দিন অতিবাহিত হয়েছে। এখনো ব্রিজের মুখ বন্ধ করার এ বাঁধ দিতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ ব্রিজে স্লুইস গেইট না হওয়া পর্যন্ত হাইমচরবাসীর দুর্দশা কমবে না। তাই অতি দ্রুত ব্রিজ দু’টিতে স্লুইস গেইটের ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে অনুরোধ করছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমাদের বরাদ্দ না থাকায় আমরা সঠিক সময়ে কাজ করতে পারি না। আমাদের যা বরাদ্দ আসে আমরা তাই করি। আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব এ ব্রিজের মুখগুলো বন্ধ করার জন্য। স্লুইস গেইটের জন্য আমরা আবেদন করেছি, অনুমোদন হলেই স্লুইস গেইট করা হবে।

Exit mobile version