Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

করোনার আতঙ্ক হারিয়ে গেছে কোরবানির পশুর হাটে

সুজন পোদ্দার :
চাঁদপুরের কচুয়ায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে কচুয়ায় এ বছর ৪২টি অস্থায়ী কোরবানীর পশুর হাট বসেছে। অস্থায়ী হাটগুলো দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হয়। তবে হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে শতভাগ। উল্লেখ্যযোগ্য হাটগুলো হলো : সাচার বাজার, বিতারা বাজার , পালাখাল বাজার, আলিয়ারা বাজার, উজানী বাজার, তুলপাই বাজার, চৌহুমনী বাজার, ডুমুরিয়া বাজার, মিয়ার বাজার, জগতপুর বাজার ও কচুয়া বাজার।

শুক্র ও শনিবার উপজেলার ডুমুরিয়া, রহিমানগর, গুলবাহার, নিশ্চিন্তপুর, সাচার বাজার কোরবানির পশুর হাটে সরেজমিন দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। স্বাস্থ্যবিধির মানার আগ্রহ নেই ক্রেতা-বিক্রিতার মাঝে।বাজারে আসা অল্প কিছু মানুষের মুখে মাস্ক পড়া থাকলেও বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। পশুর হাটের ইজারাদাররা বিনামূল্যে মাস্ক দিলেও অনেকই তা ব্যবহার করছে না। কেউ কেউ মাস্ক পকেটে, কেউবা মাস্ক হাতে নিয়ে বাজারে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়।

]ডুমুরিয়া বাজারের হাটে বিভিন্ন প্রজাতির ২০০ থেকে ২৫০ গরু উঠেছে। এর মধ্যে প্রথম দিনে ৬০টি গরু বিক্রি হয়েছে বলে ইজারাদাররা জানিয়েছেন। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সন্তুষ্টি দেখা যায়। হাটে মহিষের উপস্থিতি নেই। এ হাটে গরু কিনতে আসা হারুন মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, বাজারে গরুর দাম সন্তোষজনক, খুব বেশিও না আবার কমও না। আমি ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছি।

একই বাজারের স্থানীয় ডুমুরিয়া গ্রামের গরু বিক্রেতা মনির ও মমিন মিয়া বলেন, আমরা ১৩টি ষাঁড় গরু নিয়ে এসেছিলাম, এর মধ্য ৫ বিক্রি হয়ে গেছে। আশা করছি, আগামী দু’দিনের মধ্য বাকী ষাড়গুলো বিক্রি হয়ে যাবে। দাম কিছুটা কম মনে হচ্ছে।

ডুমুরিয়া বাজারের পশুর হাটের ইজারাদার আলমগীর হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার পরিচালনার চেষ্টা করছি, বাজারে গরুর আমদানি ভাল। যতই ঈদের দিন ঘনিয়ে আসছে, ক্রেতারা সংখ্যা ততই বাড়ছে।

রহিমানগর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, হাটে ৩০০ থেকে ৩৫০ গরু উঠেছে। তন্মধে ১২০টি বিক্রি হয়েছে বলে ইজারাদাররা জানান। বেশ কিছুক্ষণ বাজারে দৃশ্য দেখা গেল, কোন আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার স্বাস্থ্যবিধির কথা বলা হলেও ইজারাদার, ক্রেতা-বিক্রেতা কারোই এটিকে আমলে নিতে দেখা যায়নি। উপস্থিত শত শত লোকের মুখে ছিল না মাস্ক।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সালাহ উদ্দিন মাহমুদ জানান, গত কয়েকদিন ধরে কচুয়া করোনা রোগী শনাক্ত বেড়ে গেছে। পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কচুয়ায় করোনার ভয়াবহ রুপ ধারণ করতে পারে।

Exit mobile version