Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

কারফিউ শিথিল থাকায় ছুটির দিনেও চেনা রূপে চাঁদপুর

 

কবির হোসেন মিজি :
বাংলাদেশ কোঠা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার ঘোষিত কারফিউ শিথিল করায় শুক্রবার ছুটির দিনেও চেনা রূপে ফিরেছে চাঁদপুর শহর।

শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এমনই দৃশ্য চোখে পড়েছে। তবে সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় বড় বড় শপিংমল, মার্কেটের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিলো স্বাভাবিক।

জানা যায়, বাংলাদেশে ছাত্রসমাজের কোঠা বিরোধী আন্দোলকে কেন্দ্র করে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কারফিউ জারি করেন সরকার।

তারপর গত ২৪ জুলাই থেকে চাঁদপুর জেলা শহরে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়। এমন ঘোষণার পরেই সাধারণ মানুষ নিজ নিজ কর্মে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সরজমিনে চাঁদপুর শহরের কালী বাড়ি শপথ চত্বর মোড়, ছায়াবানী মোড়, পালবাজার ব্রিজের গোড়া, বাসস্ট্যান্ট, চিত্রলেখা মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের কমবেশি উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। একই সাথে বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, তেলের লড়ি, সিএনজি স্কুটার ও অটোরিক্সা ছিলো অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের চেয়ে কিছুটা কম। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায়, শহরের প্রাণকেন্দ্রের নামকরা শপিংমল, মার্কেট বন্ধ থাকলেও মার্কেটের আশেপাশের বিভিন্ন দোকানপাট খোলা রাখতে দেখা গেছে। কারফিউ শিথিল থাকায় শহরের ফুটপাতগুলোতেও হকার ব্যবসায়ীরা পূর্বের দিনের মতো তাদের ক্ষুদ্র ব্যবসা সাজিয়ে বসতে দেখা গেছে।

তবে এদিন সকালের তুলনায় বিকেলের দিকে শহরে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের উপস্থিতি এবং রিক্সা অটোরিক্সা বাড়তে দেখা গেছে। দেশের কোঠা বিরোধী আন্দোলনের কারণে টানা ১০/১৫ দিন অনেকেই ঘরের বাইরে বের হতে না পারায়, শুক্রবার ছুটির দিন বিকেলে কেউ কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে একটু বিনোদনের জন্য ঘুরতে বের হয়েছেন।

এদিকে কর্মজীবী, শ্রমজীবী, পথচারী ও ঘুরতে আসা অনেকের সাথে কথা বললে তারা জানান, গত কয়েকদিন কারফিউ থাকায় তারা ঠিকমতো ঘরের বাইরে বের হতে না পেরে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। এতদিন পরে হলেও একটা নির্দিষ্ট সময়ে তাদের কর্মযজ্ঞ করতে পেরে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছেন। খুব সহসাই সারাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে চাঁদপুর শহরও পূর্বের মতো নিয়মিত স্বাভাবিক রূপে ফিরবে এমনটাই তাদের প্রত্যাশা।

Exit mobile version