Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

চাঁদপুরের বালিয়ার মৃত ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন, ছেলেও উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ

বাড়ি লকডাউন : পরিবারের ৩ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ

আবদুস সালাম আজাদ জুয়েল :
চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাঘড়া বাজার এলাকার বাসিন্দা করোনা উপসর্গ নিয়ে নিহত খোরশেদ আলমের রিপোর্ট পজেটিভ বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন। তিনি ঢাকায় নমুনা পরীক্ষা দেন। ঢাকাতেই মারা যান। নিজ বাড়ি বালিয়ায় এনে তাকে দাফন করা হয়।

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) তার রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। ওইদিন বিকেলে বিষয়টি জানার পরে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ গিয়ে ওই বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছেন।

বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মনসুর খান। তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোর পরে মঙ্গলবার বিকেলে খোরশেদ আলম এর বাড়িটি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে।

এছাড়া মৃতের পরিবারের ৩জনের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন।

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, নিহত খোরশেদ আলমের ছেলে অর্থাৎ যে তার মৃত পিতাকে ঢাকা থেকে নিয়ে এসেছেন, সেও করোনার উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ। ২৩ এপ্রিলের পর সে এলাকার চা দোকান ও মানুষের বাড়িতে গিয়ে ঘুরাফেরা করেছেন। খোরশেদ আলমের রিপোর্ট পজেটিভ জেনে এলাকার লোকজন আতংকে রয়েছেন। কারণ তার ছেলের সাথে বহু মানুষের মেলামেশা হয়েছে।

খোরশেদ আলম গত ২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে নিজ কর্মস্থলে অসুস্থ্ হয়ে পড়লে হসপিটালে গিয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য দিয়ে আসেন। বাসায় আসার পর বিকেলে তার মৃত্যু হয়। তিনি হসপিটালে চিকিৎসা না নিয়ে বাসায় চলে আসেন। মৃত্যুর পরে তার এক সন্তান তাকে রাতে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ স্বাস্থ্য বিধি মেনে তার দাফন সম্পন্ন করেন।

উল্লেখ্য, খোরশেদ আলম করোনা টেস্টের জন্য ঢাকায় নমুনা প্রদান করায় এবং সেখানেই মারা যাওয়ায় চাঁদপুর সিভিল সার্জন অফিসে তার কোন তথ্য নেই।

Exit mobile version