Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

চাঁদপুরের রাতের বৃষ্টিতে ফের নিম্নঞ্চল প্লাবিত : ৫৯ মেট্রিক টন চাল বিতরণ

চাঁদপুরের রাতের বৃষ্টিতে ফের নিম্নঞ্চল প্লাবিত : ৫৯ মেট্রিক টন চাল বিতরণ

খালেকুজ্জামান শামীম :
হাজীগঞ্জ উপজেলা আবারো বন্যায় প্লাবিত। বিশেষ করে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধব্যপুর উত্তর ইউনিয়ন ১০নং গন্ধব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন, ৬নং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়ন নিম্মাঞ্চল হওয়ায় প্লাবিত হয়েছে। এ তিনটি ইউনিয়ন অত্যন্ত নিম্ন অঞ্চল বিদায় এই এলাকার মানুষ পানি বন্দী হয়ে আছে। গত দু’দিন আগ থেকে পানি নামতে শুরু করেছিল। বিভিন্ন রাস্তাঘাট থেকে পানি নেমে গেছে।

কিন্তু সোমবার গভীর রাত থেকে সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত রাতভর বৃষ্টির কারণে ওই অঞ্চলগুলো আবার প্লাবিত হয়ে পড়েছে। আবারো পানিবন্দী হয়ে পড়েছে মানুষ। বিশেষ করে গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন, বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নসহ নির্ণয় অঞ্চল এখন আবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। আবারো আগের মত রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। কিছু মানুষ আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরলেও আবার আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে ছুটচে।

হাজীগঞ্জ পুরো এলাকাটাই এখন বন্যায় প্লাবিত। বিশেষ করে গন্ধর্ব্যপুর উত্তর দক্ষিণ বড়কুর পশ্চিমসহ প্রায় সবগুলো ইউনিয়ন এখন পানিবন্দী মানুষ। এর মধ্যে হাজীগঞ্জ পৌরসভার রান্ধুনীমুড়া, মকিমাবাদসহ কিছু কিছু জায়গায় পানি উঠেছে।

দিকে পানিবন্দী এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সরবরাহ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকির হোসাইন জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত হাজীগঞ্জ উপজেলা ১২ ইউনিয়নের জন্য ৫৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা ক্ষতিগ্রস্তের পরিমাণ দেখে বিতরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের কাছে ১৬ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে।

যা পরবর্তীতে ধাপে ধাপে তা বিতরণ করা হবে। তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত ১ লাখ ৭ হাজার টাকার শুকনা খাবার বন্যার্তদের মাঝে বিতরন করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হাজীগঞ্জ উপজেলার বন্যার্ত ৫শ’ পরিবারকে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। এছাড়া ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রায় দুই হাজার পরিবারের খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করেছে।

গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুর রহমান বেলাল বলেন, আমার ইউনিয়নটি ডাকাতিয়া নদীর পাশেই তাই মানুষ বেশি পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। গতরাতের বৃষ্টিতে আবারো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ।

Exit mobile version