Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

চাঁদপুরে নোংরা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই

মোরশেদ আলম :
বৈশ্বিক মহামারি করোনা মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চাঁদপুরে নোংরা পরিবেশে নামে বেনামে লাচ্ছা সেমাই তৈরির কাজ পুরোদমে চলছে। শহরের পুরাণবাজার নিতাইগঞ্জে কোহিনূর বেকারী, মীম বেকারি, আলম ফুড ও বেগম ফুডসহ ৫-৬টি প্রতিষ্ঠান নামে বেনামে লাচ্ছ সেমাই তৈরী করে যাচ্ছে।

আসন্ন ঈদে সেমাইয়ে চাহিদা থাকায় ওই বেকারিতে রাত-দিন সেমাই তৈরী করছে শ্রমিকরা। কারখানাগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, কারখানাগুলোতে নেই কোন ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবস্তা। শ্রমিকদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন প্রবনতা দেখা যায়নি। ছিল না তাদের মুখে মাক্স।

শ্রমিকরা খালি হাতে ময়দার মাখছে। তখন তাদের শরীরের ঘাম সেমাই তৈরীতে পড়তে দেখা যায়। দু’টি বড় চুলায় পুরাতন ও পোড়া তৈল দিয়ে নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন ভাখানেবে লাচ্ছা সেমাইয় তৈরীর করছে শ্রমিকরা। কারখানায় পাশেই ছিল গোয়ালঘর।

যত্রতত্র ফেলা রয়েছে ময়দা, ডালডা ও পোড়া নষ্ট সেমাই। যেন পুরো কারখানাই ময়লার ভাগার। এতে যে কোনো সময় চাঁদপুরে মহামারী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা করছেন সচেতন মহল। তাদের দাবি প্রশাসন যাতে অতি দ্রুত মিম বেকারিতে অভিযান চালায়।

এদিকে গত রোববার চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেলের নেতৃত্বে ২০-২৫জনের একটি টিম সেমাই ফ্যাক্টরীতে অভিযান চালায়। ওই সময় মালিক পক্ষের কাউকে সেমাই কারখানায় না পেয়ে রাতে তাদেরকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে থানায় হাজির হতে নির্দেশ দেয়।

চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল-আল-মাহমুদ জামান জানায়, নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বেকারিগুলোতে সেমাই তৈরির কথা শুনেছে। আর তারা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Exit mobile version