Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

চাঁদপুরে পরকিয়ার টানে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা নিয়ে ঘরছাড়া গৃহবধূ

টিপু পাঠান :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্বপ্নের সংসার তছনছ করে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থসহ প্রায় ১৭ লক্ষ টাকার মালামাল আত্মসাৎ করে পরকিয়ার টানে পাড়ি জমানোর অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় ওই গৃহবধূ ও তার বাবা-মাকে অভিযুক্তকরে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রবাসীর বাবা তাজুল ইসলাম। ঘটনাটি উপজেলার মিরপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী শরীফুল ইসলামের স্ত্রী তানজিনা আক্তার ও তার বাবা মায়ের বিরুদ্ধে।

থানায় লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে শরীফুল ইসলামের সাথে একই উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের সানা উল্লাহ’র মেয়ের সাথে ১০ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে ইসলামী শরিয়াহ মতে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩টি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শরিফুল ইসলাম কয়েকবার ছুটি কাটিয়ে জীবিকার তাগিদে স্বপ্নের সংসার গড়ার আশায় নিয়মিত প্রবাস জীবন যাপন করেন। স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগে তার স্ত্রী বিভিন্ন ছেলেদের সাথে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সালিশ, থানায় অভিযোগ ও বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ থাকারপরও সমাজ ও নিজের ৩টি মেয়ের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে স্ত্রীর অপরাধ ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে পুনরায় জীবন সংসার শুরু করেন শরীফুল ইসলাম। বর্তমানে শরীফুল ইসলাম বিদেশে বসবাস করেন, আর এই সুযোগে তার স্ত্রী আবারো পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে।

এদিকে গৃহবধূর পরকিয়ার বিষয়টি তার শ্বশুর ও পরিবারের লোকজন টের পাওয়ার পর তাকে ডাকদিলে সে শ্বশুর পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যাংকে জমানো নগদ টাকা ও স্বর্ণের গহনাসহ প্রায় ১৭ লক্ষটাকার জিনিসপত্র নিয়ে গত ১৯ সে সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসী শরীফুল জানান, আমার স্ত্রী আরেক বিয়ে করলে নতুন স্বামী পাবে। কিন্তু আমার সন্তানেরা তো আর মা পাবে না, এই দৃষ্টি থেকে আমার স্ত্রীর এত অন্যায় আমি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছি। বর্তমানে আমার বড় মেয়েটির আট বছর বয়স, এখন তো দিন দিন মেয়েরা বড় হচ্ছে। মেয়েদের কথা ভেবেও সে ভালো হতে পারে। আমার এত বছরের প্রবাস জীবনে রোজগারের সকল টাকা পয়সা নিয়ে গেছে সে, আমি তার বিচার চাই।

থানায় অভিযোগকারী ওই গৃহবধূর শ্বশুর তাজুল ইসলাম বলেন, আমি পুত্রবধূকে মেয়ের মতো দেখে এতবার ক্ষমা করেছি, তার বাবা-মাকে জানালে তারা আরোও মেয়েকে অন্যায় কাজে উৎসাহ দেয়। প্রশাসনের কাছে তাদের সুষ্ঠ বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই গৃহবধূ বলেন, আমি বর্তমানে আমার বাবা মায়ের হেফাজতে রয়েছি, আমার স্বামী দেশে আসলে তার সাথে আমি বসবো।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস.আই) নাছির উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে মেয়েটি পরকিয়ায় আশক্ত হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনুনাগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Exit mobile version