Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

চাঁদপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান

জহিরুল ইসলাম জয় :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের এক তরুণী বিয়ের দাবিতে পাশ্ববর্তী জেলা নোয়াখালীতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। তরুণীর বাড়ি হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে । ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তরণীর বাবার কাছে জানতে পারেন, বাড়ি থেকে সে একাই গত রোববার বের হয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত প্রায় দুই বছর পূর্বে মেয়েটির পাশের বাড়িতে আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল বসানোর মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতে আসে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লাক ইউনিয়নের উরিরচর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আলাউদ্দিন (২৫)। সেখানে দু’জনের চোখাচোখি থেকে মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান। টিউবওয়েল বসানোর কাজ শেষ হলে তরুণীর মুঠোফোন নাম্বার নিয়ে বাড়ি ফিরে যায় আলাউদ্দিন। এরপর মুঠোফোনে চলে দূরন্ত প্রেম।

আলাউদ্দিন নোয়াখালী থেকে বেশ কয়েকবার চাঁদপুর শহরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে তরুণীকে নিয়ে ঘুরতে শুরু করে ও বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে থাকতে শুরু করে।

কিছুদিন হলো আলাউদ্দিনের ফুফাতো বোনের সাথে তার পরিবার তাকে বিয়ে দিতে সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করে। নারী ধনের সর্বস্ব লুটেরা আলাউদ্দিন অন্যত্র বিয়ে করছে এমন খবরে গত রোববার সকালে হাজীগঞ্জের এই তরুণী নোয়াখালীতে আলাউদ্দিনের বাবার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে।

এদিকে বহুদিনের প্রেমিকা তরুণী বাড়িতে এসেছে শুনেই বাড়ি ছাড়ে প্রেমিক আলাউদ্দিন। খবরটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসি ভিড় করেন প্রেমিক আলাউদ্দিনের বাড়িতে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে তরুণী বলেন, ২০১৮ সালের শেষের দিকে আলাউদ্দিন তাদের পাশের বাড়িতে টিউবওয়েল বসানোর কাজ করতে আসে। প্রেমিকা ওই বাড়িতে প্রাইভেট পড়ার সময় আলাউদ্দিন প্রায় তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিত। পরে দীর্ঘদিন ফোনে কথা বলার পর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময় চাঁদপুরের কয়েকটি হোটেলে নিয়ে একাধিকবার জোরপূর্বক তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। এখন আলাউদ্দিনের বাবা-মা তাকে মেনে নিতে রাজি নয়।

তরুণী আরো জানায়, আলাউদ্দিনকে তার পরিবার লুকিয়ে রেখেছে। তারা যদি আলাউদ্দিনকে এনে এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না করে তাহলে আমি এখানেই আত্মহত্যা করবো।

এ বিষয়র ৩নং চরক্লার্ক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করা হলে আলাউদ্দিনকে হাজির করার শর্তে তার বাবা-মা-কে সময় দেয়া হয়। এ সময় উভয় পক্ষ থেকে একটি মুচলেকা নিয়ে এক মাসের সময় নেন।

বিষয়টি নিয়ে চরজব্বার থানার ওসি জিয়াউল হক তরিক খন্দকার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ খবর ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় হাজীগঞ্জে ব্যাপক আড়োলন সৃষ্টি হয়েছে।

Exit mobile version