Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

চাঁদপুরে মেঘনা-ডাকাতিয়ার পানি বিপদসীমার উপরে, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল : বাড়ছে ভাঙন

আল ইমরান শোভন :
চাঁদপুরের মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবত উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার রাতে ডাকাতিয়া নদীর পানি বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর আগে রোববার ৩৫ সেন্টিমিটার ও শনিবার ৩৯ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হয়। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

এদিকে কয়েকদিন যাবত অব্যাহতভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁদপুর জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিচু এলাকায় জোয়ারের সময় প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে।

অন্যদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ও ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। হানারচর ইউনিয়নে কয়েকদিন যাবত নদীভাঙনে বেশকিছু ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে।

এছাড়া ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের আলুরবাজার এলাকায় বসতঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন আতংকে রয়েছে ওইসব এলাকার বসবাসকারী বাসিন্দারা।

হানারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার রাঢ়ী বলেন, আমরা ভাঙন আতংকে রয়েছি। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিযেছে। ইতোমধ্যে নদীভাঙনে বেশকিছু বসতঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

অপরদিকে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরানবাজার হরিসভা এলাকায় পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন আতংক দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে দ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে হরিসভা এলাকায় বালিভর্তি বস্তা ফেলা শুরু হয়েছে।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার বলেন, কয়েকদিন যাবত মেঘনা, ডাকাতিয়া নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শহর রক্ষা বাঁধের হরিসভা এলাকায় ভাঙন রোধে বালিভর্তি বস্তা ফেলা শুরু হয়েছে।

এছাড়া জরুরী ভিত্তিতে আলুরবাজার এলাকায় ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং হানারচর এলাকায় ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Exit mobile version