Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

চাঁদপুরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

জেলার চরাঞ্চল ও নদীতীরের ১২ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে

তালহা জুবায়ের :
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকা চাঁদপুরে দুর্যোগ মোকাবেলায় নানা প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। জেলার চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও মতলব উত্তর উপজেলার চরাঞ্চলের ১৮টি ইউনিয়নে সতর্কতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

প্রশাসনের উদ্যোগে ইতিমধ্যে নদী তীরবর্তী ১২ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে আনসার ভিডিপসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। নদী তীরবর্তী এসব এলাকায় ইতিমধ্যে ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৬০ টন চাল বরাদ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

বুধবার সকাল থেকে পদ্মা-মেঘনা নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বাড়তি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা আরো বাড়বে। নদীতে চলাচলকারী বিভিন্ন নৌ-যান নিরাপদ স্থানে নৌঙর করা হয়েছে।

জেলা আনসার ভিডিপি কমান্ড্যান্ট ইব্রাহিম খলিল বলেন, নদীপাড়ের মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে আমরা উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। দুর্যোগকালীন মুহূর্তে মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের সদস্যরা প্রস্তুত আছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম জাকারিয়া বলেন, ঘূনিঝড় মোকাবেলায় আমরা সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নদীতে চলাচলকারী নৌযানগুলো নিরাপদ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া নদী তীরবর্তী মানুষকে নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে নেওয়ার কাজ করছে।

জেলার ১৬শ’ স্কুল কলেজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে। তাছাড়া মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে। যে কোন প্রয়োজনে আমরা কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছি।

চাঁদপুর জেলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহ মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৯ নম্বর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চাঁদপুর উপকূলীয় জেলা হিসেবে ১০ নম্বরের আওতায় থাকবে।

তিনি বলেন, এই সংকেত অনুযায়ী যখন ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করবে তখন স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া অতি ভারি বর্ষণসহ ঘন্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দকমা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

Exit mobile version