Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

চাঁদপুর সদরের করোনা ওয়ার্ডে ২৪ ঘন্টায় ১৪জনের মৃত্যু : ৪৮ ঘন্টায় ২৫জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২৪ ঘন্টায় ১৪জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ৩জনের করোনা পজেটিভ ও বাকীরা উপসর্গে ভুগছিলেন। এছাড়া সোমবার দুপুর ২টা থেকে বুধবার ২টা পর্যন্ত ৪৮ ঘন্টায় মোট ২৫জনের মৃত্যু হলো। সদর হাসপাতালের করোনা বিষয়ক ফোকালপার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত শনাক্তকৃতদের মধ্যে মারা গেছেন মতলব দক্ষিণের উপাদি এলাকার রানু বেগম (৫৫), ফরিদগঞ্জের রূপসা এলাকার বদরপুর গ্রামের হোসনেয়ারা বেগম (৭০) ও চাঁদপুর সদর উপজেলার বাবুরহাট এলাকার দাসাদী গ্রামের রহিমা বেগম (৬০)।

এছাড়া উপসর্গে মৃতরা হলেন হাজীগঞ্জের ধড্ডা এলাকার নূরজাহান (৩৬), মতলব উত্তরের দশানী মোহনপুরের মোহন (৭০), হাজীগঞ্জের ছয়ছিলা এলাকার রহিমা (৪০), চাঁদপুর সদরের উত্তর তরপুরচন্ডি এলাকার রব কাজী (৮০), ফরিদগঞ্জের দক্ষিণ কেরোয়া এলাকার রশিদা বেগম (৭০), একই উপজেলার গাজীপুর এলাকার বাবুল (৪৫) ও ঘনিয়ার বালিমুড়া এলাকার শফিউল্লাহ (৮০), চাঁদপুর সদরের আলগী পাঁচগাঁও এলাকার মোঃ শামসুল (৭৩), একই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কুমুরা এলাকার আঃ কবির (৬৫), শাহরাস্তির বেদীপুর এলাকার আলী আজম (৭০), চাঁদপুর শহরের ৩নং কয়লাঘাট এলাকার রোকেয়া বেগম (৭৫)।

এর আগের ২৪ ঘন্টায় মৃতরা হলেন- চাঁদপুর সদরের রঘুনাথপুর এলাকার আঃ লতিফ (৬৫), ফরিদগঞ্জের রূপসা বাজার সংলগ্ন ঘোড়াশাল এলাকার আয়েশা বেগম (৭০), চাঁদপুর সদরের দক্ষিণ বাগাদীর শাহিদা (৭০), বালিয়া এলাকার হোসনেয়ারা (৫৫), শহরের মেথা রোডের কালিপদ কর্মকার (৫৮), শাহরাস্তির হোসেনপুর এলাকার সুফিয়া (৮৫), মতলব দক্ষিণের মাছুয়াখাল এলাকার শরিফ ঢালী (৬৫), হাজীগঞ্জের শ্রীপুর এলাকার আঃ মজিদ (৯০), মতলব উত্তরের মান্দারতলী এলাকার আঃ সোবহান (৯০), মতলব দক্ষিণের লামচরী এলাকার মনি রানী (৫৫), আশ্বিনপুর এলাকার মাকসুদা (৩৬)।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখন আর মৃত সবার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার আলোকেই মৃতদের নমুনা সংগ্রহের প্রয়োজন নেই। তারপরও সম্ভাব্য কিছু রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিশেষ করে উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর সবার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর যারা মারা যান তাদের রিপোর্ট জানা যায়। তবে মাত্রাতিরিক্ত রোগী ও দিন-রাত ব্যাপক মৃত্যুর কারণে সবার নমুনা সংগ্রহের সুযোগও নেই।

Exit mobile version