Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পদ্মা-মেঘনা পাড়ি দিচ্ছে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা

তালহা জুবায়ের :
করোনা ভাইরাস সংক্রমনরোধে সারা দেশে চলছে লকডাউন। এতে করে লঞ্চসহ সকল ধরনের গণপরিবরণ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে সাধারণ মানুষ পরিবারের সাথে ঈদ করতে ছুটছে গ্রামের পানে। নানা বিরম্বনা পেড়িয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে চাঁদপুর থেকে পাড়ি দিচ্ছে উত্তাল মেঘনা। এতে করে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

যাত্রীরা বলছেন, ঝুঁকি আছে জেনেও পরিবার ও আত্মীয়দের সাথে ঈদের সময়টা কাটাতেই এতো কষ্ট সহ্য করা। গত ক’দিন ধরে ভোর থেকে চাঁদপুর বড়স্টেশন ঘাটে দেখে যায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে পাড়ি দিচ্ছেন মেঘনা নদী।

শরীয়তপুর জেলার ফতেজংপুুর এলাকার বাসিন্দা শুক্কুর আলী বলেন, আমি ঢাকা গুলিস্থান থেকে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভোরে রওনা দেই। ৬ বার গাড়ি বদল করে ও হেটে অবশেষে চাঁদপুর বড়স্টেশন পৌছেছি বেল ৩টায়। এখান থেকে ট্রলারে করে মেঘনা পাড়ি দিয়ে বাড়ি যাবো পরিবারের সাথে ঈদ করতে।

তিনি বলেন, রাস্তায় প্রতি কদমে কদমে ভোগান্তি। ঢাকি থেকে কিছু রাস্তা বাসে, কিছুটা পিকআপ ভ্যানে, পায়ে হেটে ও অটোরিক্সায় করে অনেক ঝুঁকি নিয়ে এসেছি। এখন আবার মেঘনা পাড়ি দিতে হবে নৌকায় করে। সকল ক্ষেত্রেই কয়েক গুন বেশি টাকা দেওয়া লেগেছে। নদী এখন শান্ত থাকলেও খারাপ হতেও বেশি সময় লাগে না মেঘনার। এতো কষ্টের পরেও বাড়ি ফিরতে পাড়লে সকল কষ্ট দূর হয়ে যাবে।

চট্টগ্রাম থেকে আসা আরেক যাত্রী বলেন, মো.রাসেল বলেন, আমি শরীয়তপুর জেলার ভেদেরগঞ্জ যাচ্ছি। সকল ক্ষেত্রেই আমাদের অত্যন্ত কষ্ট ও ভোগান্তি স্বীকার করে যাওয়া লাগছে। আগে ট্রলার ভাড়া ৬০ টাকা থাকলেও এখন ১০০ টাকা করে নিচ্ছেন। ঝুঁকি আছে যেনেও এই নদী পাড়ি দেওয়া লাগছে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায়।

চাঁদপুর বড় স্টেশন এলাকার নৌকার মাঝি মো. তাফাজ্জল হোসেন বলেন, আমরা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রীদের শরীয়তপুরে ফেরিঘাট এলাকায় নামিয়ে দিচ্ছি। এজন্য জনপ্রতি ১০০টাকা করে ভাড়া নিচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা মূলত পর্যটকদের নৌকা দিয়ে আশপাশের চরে ঘুরাই। কিন্তু এখন যাত্রীদের চাপ থাকায় যাত্রীবহণ করছি। তবে যাত্রীদের নিরাপত্তায় প্রতিটি নৌকায় বয়া ও লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করি।

চাঁদপুর নৌ-থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, কোন নৌকা যেন অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যেতে না পারে সে ব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এসব নৌকা মূলত আশপাশে এলাকায় যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে, দূরে কোথাও যায় না।

Exit mobile version