Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত চাঁদপুর শহর

কবির হোসেন মিজি :
জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে চাঁদপুর জেলা শহর। শহরের নিম্নাঞ্চল ছাপিয়ে প্রধান প্রধান সব সড়ক পানিতে ডুবতে শুরু করেছে। বুধবার বিকেল থেকে ক্রমেই পানি বাড়ছে।

অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে চাঁদপুর জেলা শহরসহ আশপাশের এলাকা। শহর ও গ্রামের সর্বত্রই এক ধরণের বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে শুরু করেছে। হঠাৎ করে পানি বাড়ায় চরম বিপাকে পড়েছে গ্রাম ও শহরের মানুষ।

বুধবার রাত ৮টার পর চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন সড়ক পানিতে ডুবে যেতে দেখা যায়। এর মধ্যে চাঁদপুর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক, চিত্রলেখা মোড়, হাজী মহসিন রোড, চাঁদপুর হাসান আলী স্কুল মাঠ, মিশন রোড, পালপাড়া, ঘোষ পাড়া, নতুন বাজার, গুয়াখোলা, প্রফেসরপাড়া কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক (স্ট্র্যান্ড রোড), ট্রাক রোড এবং শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কসহ শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও সড়কগুলো পানিতে ডুবে যেতে দেখা যায়।

এতে করে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। হঠাৎ করে শহরের সড়ক গুলোতে বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় অনেক সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। লোকজন রাস্তাঘাট ছেড়ে বাসায় চলে যায়। তবে যাদের বাসা নিচু এলাকায় তারা ঘরে যেয়েও পানি বেষ্টিত হয়ে আছে।

এছাড়া পুরানবাজার, দোকানঘর, বহরিয়া , হাইমচর, চান্দ্রা, হানারচর, লক্ষ্মীপুর, রামদাসদী, রাজরাজেশ্বর, ইব্রাহিমপুর,লক্ষীপুর, রঘুনাথপুর, কোড়ালিয়া, কাশিম বাজার, তরপুরচন্ডীসহ নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ব্যাপক পানি বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে।

বুধবার বিকেল থেকে দোকানঘর লোহারপুল হয়ে নতুনবাজার-পুরানবাজার ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটিতে পানির পরিমান বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। একই অবস্থা হয় পুরানবাজার থেকে নতুনবাজারে আসার আরো দু’টি সড়কেরও। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় কিছু লোক রাস্তায় গাছ পেলে এমনকি বেড়িকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। যার কারনে আটকা পড়ে যায় নতুনবাজারের উদ্দেশ্য আশা শত শত লোকজন ও বিভিন্ন যানবাহন।

এদিকে এদিন রেকর্ড পরিমান পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামাঞ্চলের বহু পরিবার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বেড়িবাঁধের সড়কের পাশে আশ্রয় নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। হঠাৎ করে চাঁদপুরে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। অনেকে বর্তমান পরিস্থিতিকেই বন্যা হিসেবে অভিহিত করছেন। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো বন্যার ঘোষণা করেনি।

Exit mobile version