Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

প্রেমিককে বসে আনার আশ্বাসে যুবতীকে ধর্ষণ : কবিরাজ আটক

শাওন পাটওয়ারী :
চাঁদপুর শহরের যমুনা রোডে তান্ত্রিক কবিরাজ কর্তৃক পুরনো প্রেমিককে বসে এনে দেবার কথা বলে যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে ১ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে ভুক্তোভোগী যুবতী। মামলায় কথিত তান্ত্রিক কবিরাজ ইব্রাহিম ডাক্তার (৫৫) কে আসামী করা হয়।

মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে কৌশল অবলম্বন করে শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্ত তান্ত্রিক কবিরাজ ইব্রাহিম ডাক্তার (৫৫) কে যমুনা রোডে তার বসতঘর থেকে আটক করেছে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক রাকিবুল।

চাঁদপুর শহরের যমুনা রোডস্থ কবিরাজ ইব্রাহিমের বসতঘরের ভিতরে গত ২৫ আগস্ট রাত ১টায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী যুবতী ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। ঘটনার পরপর তান্ত্রিক কবিরাজ পালিয়ে যায়।

মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের যমুনা রোডে মা মেডিকেলের ঔষধ ফার্মেসীর দোকানে পেশায় তান্ত্রীক কবিরাজ ও ডাক্তারী কাজ করে থাকে। যুবতীর ব্যক্তিগত সমস্যাসহ প্রেমিকের সাথে দূরত্ব হওয়ায় তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ভাল হওয়ার জন্য তান্ত্রিক কবিরাজের কাছে যায়।

বিভিন্ন উপায়ে যুবতীকে কুপ্রস্তাব এবং দৈহিক মিলন করলে প্রেমিকের সাথে ভাল সম্পর্ক হবে বলে তান্ত্রিক জানায়। গত ২৪ আগস্ট রাতে যুবতীকে দেখা করার জন্য বলে কবিরাজ। পরে কবিরাজের কথা বিশ্বাস করে ২৪ আগস্ট রাত ১১টায় তার ফার্মেসীতে যায় যুবতী।

দীর্ঘ সময় কথাবার্তা বলার পর কবিরাজ কৌশলে তার বসতঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। পরে কবিরাজ আসন দিবে বলে যুবতীকে তার পরিহিত জামাকাপড় খুলতে বলে। একপর্যায়ে তার বসত ঘর হতে বের হওয়ার চেষ্টা করলে কবিরাজ জোরপূর্বক ঘরের দরজা বন্ধ করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে যুবতীকে ধর্ষণ করে।

ভুক্তভোগী যুবতী জানান, দূর সম্পর্কের আত্মীয় যমুনা রোডের সেকুল, স্বপ্না ও রহিমা আমাকে কবিরাজ ইব্রাহিমের কাছে নিয়ে যায়। আমার সমস্যা সমাধান করবে বলে ৫০ হাজার টাকার চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী প্রথমে ২১ হাজার টাকা প্রদান করি। পরে পর্যায়ক্রমে আরও ৩০ হাজার টাকা প্রদান করি।

তিনি বলেন, টাকা দেওয়ার পর নির্জনে আসন দিবে বলে তার বাসায় আসতে বলে। তার কথা মত আমি কবিরাজের বাসায় যাই। আসন দেওয়ার পর ধুপের ধোয়ায় আমি প্রায় অচেতন হয়ে পড়ি। পড়ে সে আমাকে সারা রাত ধর্ষণ করে। সকালে তার ঘর থেকে বের করে দেয়। এরপর আরও দুইদিন আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এছাড়া আমাকে ফার্মেসীর ভেতরে রেখে তার স্ত্রীসহ অনেক মারধর করে। আমি প্রশাসনের কাছে তার বিচার চাই।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, যুবতীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় কথিত তান্ত্রিক ইব্রাহিমকে তার বসতঘর থেকে আটক করা হয়েছে।

Exit mobile version