Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

প্রেমের জেরে খুন হয় চাঁদপুরের তরুণী শাহানাজ : ২৪ ঘন্টায় ২ খুনি আটক

শাওন পাটওয়ারী :
নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্ন ইউনিয়নের করমুল্লাপুর গ্রাম থেকে বস্তাবন্দি গলাকাটা নারী চাঁদপুরের শাহানাজ হত্যাকান্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ এলাকা থেকে অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করে নোয়াখালী সুধারাম থানা পুলিশ।

নিহত শাহানাজ (১৮) চাঁদপুর জেলা সদরের পুরাণবাজার কবরস্থান এলাকার বাসিন্দার। তার পিতা শাহ আলমের চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি মোড় চাঁদপুর হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে বাবুর্চির চাকুরি করেন। গত বৃহস্পতিবার সুধারাম থানা পুলিশ নিহত শাহনাজের মরদেহ পুরাণবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

শাহানাজ হত্যার গ্রেফতারকৃতরা হলো : বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ গ্রামের বাগারি বাড়ির মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (২৬), একই এলাকার চৌকিদার বাড়ির মো. আব্দুল মালেকের ছেলে মো. রাসেল (২৪)।

এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত দুই আসামিকে বিচারিক আদালতে হাজির করলে গ্রেফতারকৃত আসামিরা নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে আদালত তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

সুধারাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত শাহানাজের সাথে মোবাইল ফোনে ইয়াছিন আরাফাতের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এর আগেও কয়েকবার শাহানাজ চাঁদপুর থেকে নোয়াখালীতে আসে।

সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী আসে শাহানাজ। এক পর্যায়ে শাহানাজ ইয়াছিনকে বিয়ে করতে চাপ প্রয়োগ করে। বিয়ে করার কথা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। কথা কাটাকাটির জের ধরে ইয়াছিন ও তার সহযোগী রাসেল কৌশলে শাহানাজকে নোয়ান্ন ইউনিয়নের খন্দকার স’মিলের পিছনের একটি তিনতলা পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ে নিয়ে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে। পরে মরদেহ বস্তায় ঢুকিয়ে নোয়ান্ন ইউনিয়নের করমুল্লাপুর গ্রামের একটি ডোবার মধ্যে ফেলে দিয়ে আসে।

ওসি নবীর হোসেন আরো জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে মাস্টার মাইন্ডসহ দুই আসামিকে গ্রেফতার করে রহস্য উদঘাটন করে।

Exit mobile version