Site icon Chandpur Probaha | চাঁদপুর প্রবাহ

সাগরে নিষেধ অমান্য করে ধরা ইলিশ চাঁদপুরের আড়তে বিক্রি

চাঁদপুর প্রতিনিধি :
পদ্মা-মেঘনার নাম করে সাগরের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে চাঁদপুর বড়স্টেশনের মৎস্য আড়তে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও জেলে সাগরে দেদারচ্ছে ইলিশ ধরছে। আর সেই ইলিশ কয়েক দিন মজুদ রেখে ট্রলারে করে চাঁদপুর বড়স্টেশনের মৎস্য আড়তে নিয়ে আসা হয়। এরপর বিক্রি করা হয় চাঁদপুরের নদীর ইলিশ বলে।

জেলেরা জানিয়েছে, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় রূপালী ইলিশের তেমন দেখা পাচ্ছে না জেলেরা। এতে করে সাগরের ইলিশেই শেষ ভরসা মৎস্য ব্যবসায়ীদের। অনেকে চাঁদপুরের রূপালি ইলিশ ভেবে সাগরের ইলিশ ক্রয় প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। দক্ষিণাঞ্চলীয় লালচে রঙের ইলিশকে লবণ ও বরফ দিয়ে ঘষে সাদা ও চকচকে করে ওই ইলিশ চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ বলে বিক্রি করেন অনেক ব্যবসায়ী।

মৎস্য ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, ভোলার মনপুরা থেকে প্রায় ৩৫-৪০ মণ মৌজুদকৃত ইলিশ চাঁদপুর মাছঘাটে নিয়ে এসেছি। এই মাছগুলো ভোলার মেঘনার। সাগরের মাছ আমরা বিক্রি করি না। কয়েকদিনের মজুদকৃত ইলিশ আনা হয়েছে। চাঁদপুরে বিক্রি ভালো ও দাম বেশি হওয়ায় এখানে বেচা-কেনা বেশ জমজমাট।

মৎস্য ব্যবসায়ী হযরত আলী বলেন, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ খুবই কম। চাঁদপুরের পদ্মার ১ কেজি ৮শ’ গ্রামের ইলিশ মণ প্রতি ৮০ হাজার ও এক কেজী সাইজের ইলিশ ১৩শ’ থেতে ১৪শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাগর এলাকায় কিছু অসাধু জেলে ইলিশ ধরে থাকে, আর সেগুলো চাঁদপুরে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার পূর্বের কিছু ইলিশও এখন আনা হচ্ছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে ঘর ঘন বৃষ্টিপাত হলে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের দেখা মিলবে। বেশি সময় লাগবে না, হয়তো আর এক দেড় মাস পরেও চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘানায় কাঙ্কিত ইলিশ পাওয়া যাবে।

চাঁদপুরে মাছঘাটে আসা সাগরের ইলিশের প্রসঙ্গে এ মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, গত ১৯ মে মধ্যরাত থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সাগরে ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সাগর এলাকায় জেলেদের নৌকা ও ট্রলার জব্দ করে রাখা হয়েছে। তারপরও কিছু অসাধু জেলে সাগরে মাছ শিকার করছে। চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে কিছু সাগরের ইলিশ আসছে। সেগুলো কি সাগরে নিষেধাজ্ঞা সময়ে ধরছে কিনা তা আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি।

Exit mobile version