খালেকুজ্জামান শামীম/জহিরুল ইসলাম জয় :
দিনভর বৃষ্টি। এরই মধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
শনিবার সকাল ১১টায় হাজিগঞ্জ পূর্ব বাজার পুলের গোড়ায় সকাল থেকে জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে হাজিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেয়। এক পর্যায়ে তারা চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কের হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকা দখল নেয়। প্রায় দুই ঘন্টা যাবৎ সড়কে অবস্থানে কর্মসূচি পালন করে তারা। এসময় তারা তাদের ছাত্রদের হত্যার প্রতিবাদে করে তোলে হাজীগঞ্জ বাজার।
এই কর্মসূচিতে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ, হাজীগঞ্জ আহমদিয়া আলিয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এসময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল, হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আসম মাহবুবুল আলম লিপন, থানার ওসি আব্দুর রশিদসহ পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদেরকে রাস্তা ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করে। দীর্ঘ দুই ঘন্টা পর তাদের অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল শেষ করে।
আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষার্থী আবির হোসেন, মিরাজ হোসেন, ফয়সাল ও স্বপ্না আক্তার বলেন, আমাদের ভাইদের রক্তের দাগ এখনো রাস্তায় ও হাসপাতালে লেগে আছে। আমরা তাদের হত্যাকান্ডের বিচার চাই। আমরা এ সরকারের পদত্যাগ চাই।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পূর্ব বাজার সেতুর উপর অবস্থান নেয়। পরে তাদের সাথে আরো কিছু শিক্ষার্থী যোগ দিয়ে নানা বিষয়ে স্লোগান দেয়। তখন সবার হাতে ছিল ফাইবার লাঠি। সড়কের দুই পাশে পুলিশের অবস্থান দেখে ভুয়া ভুয়া স্লোগানও দেয় আন্দোলনকারীরা। তখনও পুলিশের নীরবতার কারণে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিল সমাপ্তি হয়।
এদিকে হাজীগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বির নেতৃত্বে একঝাঁক ছাত্রনেতা মধ্যে বাজারে অবস্থান নেয়। তবে কোন সংঘাতে না জড়িয়ে তারাও শান্তিপূর্ণ অবস্থানে জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
আন্দোলনের বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের নির্দেশনা ছিল তারা যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কর্মসূচি শেষ করে। যে কারণে বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয়নি। সামনের দিনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হয়তো এভাবে রাস্তায় নামবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।