খালেকুজ্জামান শামীম :
হাজীগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অতি বৃষ্টির পানি নিস্কাশন না হওয়ার কারণে অনেক এলাকায় রাস্তা ঘাট ডুবে গেছে। পানি বন্ধি হয়েছে অনেক পরিবার। কিছু কিছু যায়গায় প্রাইমারি স্কুলে আশ্রয়ের স্থান করে নিয়েছে পানি বন্ধিরা। হাজীগঞ্জ উপজেলায় বেশির ভাগ এলাকায় পুকুরে মাছ ভেসে গেছে। নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে। প্রশাসন ও ছাত্র সংগঠনগুলো বন্যাত্বদের জন্য কাজ করছে।
গন্ধব্যপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নুরুর রহমান বেলাল জানিয়েছেন, আমরা সকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খবর নিয়েছি। আমাদের মেম্বাররা বন্যার্তদের জন্য কাজ করছে। মোহাম্মদপুর পূর্বপাড়ায় পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে মানুষ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খবর পেয়েছে তিনি আমাকে খবর দিয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এছাড়াও তারালীয়াসহ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র ত্রান সামগ্রী বিতরন করেছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, আমরা বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছি। হেল্প লাইন খুলেছি ফোন পেলেই সেখানে ছুটে যাচ্ছি।
হাজীগঞ্জ উপজেলা মৎস কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা জানান, এ বন্যায় হাজীগঞ্জে মাছ চাষীরা বেশি ক্ষতির শীকার হচ্ছে। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপস শীল জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে তাদের খোঁজ নিয়েছি। কিছু কিছু ত্রান সহায়তা দিয়েছি। যা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে ছাত্র সংগঠন গুলো বন্যাত্বদের জন্য কাজ করছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের হাজীগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক ফয়সাল হোসাইন জানান, আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রান দিচ্ছি। বন্যাত্বদের পাশে দাঁড়াচ্ছি।
বাংলাদেশ ছাত্র শিবির ও ত্রান কার্যক্রম করছে বলে নিশ্চিত করেছে হাজীগঞ্জ উপজেলার সংগঠনের নেতারা।