নিজস্ব প্রতিবেদক :
পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান মো. সজিব রহমান বেপারী (১৯) তার পিতা শাহআলম বেপারীকে নির্যাতন করায় এলাকাবাসীর সহায়তায় পিতা তার সন্তানকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। তার মা-পিতার সাথে একমত হয়ে এ বিষয়ে তার সম্মতি প্রকাশ করেন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো. মহসিন আলমের নির্দেশে মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মো. সজিব রহমান বেপারীকে আটক করে মডেল থানায় নিয়ে আসেন। এ বিষয়ে সজিবের পিতা শাহআলম চাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে শহরের পালবাজার সংলগ্ন বকুলতলা রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কলোনীর বেসরকারী একটি বাসায়। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় ব্যাপক আলোচনার ঝড় বইছে।
জানা যায়, অসহায় শাহআলম বেপারী (৪৫) পেশায় একজন ফেরিওয়ালা। মাঝে মধ্যে সে শহরের পালবাজারে মাছও বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি শহরের বিভিন্ন স্থানে লেইছফিতা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
সে শহরের বকুলতলা এলাকার ব্যবসায়ী সিরাজ মিয়া বেপারীর মেয়েকে বিয়ে করার সুবাদে রেলওয়ের জায়গায় একটি টিনসেড ঘর নির্মাণ করে কোনরকম মাথা গোজার ঠাঁই করে বসবাস করে যাচ্ছেন। তাদের একমাত্র সন্তান সজিব রহমান বেপারী গত ২০২১ সালে গনি মডেল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে পুরানবাজার ডিগ্রী কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হয়।
সজিব বিগত ২০২৩ সালের এইচ এসসি পরীক্ষার টেস্ট পরীক্ষায় ৩ বিষয়ে রেজাল্ট খারাপ করায় এইচ এসসি পরীক্ষা দিতে পারে নাই। তারপর থেকে সজীব পড়াশোনা বাদ দিয়ে বখাটে প্রকৃতির ছেলেদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। সে পড়ালেখা বাদদিয়ে বাসা থেকে বাহির হয়ে সারা দিন শহরের বিভিন্ন খারাপ প্রকৃতির ছেলেদের সাথে ঘুরাফেরা করে এবং নেশাজাতীয়দ্রব্য সেবন করে বলে তার পিতা শাহাআলম পুলিশ প্রশাসনের কর্মকতর্কাদের জানিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রাত ২টা/৩টায় বাসায় ফিরে। বাসায় এসে দরজা খুলতে বলে দেরী হলে দরজা ভেঙ্গে ফেলবে বলে তার পিতাকে হুমকি ধমকি দেয় বলেও শাহআলম জানান। শাহাআলম আরো বলেন, সে আমার কাছে টাকা চায় টাকা দিতে না পারলে আমার ঘরের মালামাল ভাংচুর করে এবং আমাকে নির্যাতন করে তার মাকে নির্যাতন করে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ১ হাজার টাকা পিতার কাছে দাবি করে পিতা শাহআলম টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বাসার সোফার গদি তছনছ করে। বড় দা দিয়ে সোফা কুপিয়েছে এবং মালামাল তছনছ করে, ঘরে থাকা কাঠের আলমারির গ্লাস ভাংচুর করে। এ সময় সজিবের পিতা শাহআলম বাধা দিলে তাকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দেয় বলে শাহআলম জানান।
এলাকাবাসীর মধ্য থেকে সেলিম মিয়া তার এমন কাজের বাধা দিলে সে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপর তেরে উঠে এবং বলে তাকে ১ হাজার টাকা না’দিলে সে ঘরের ভিতরে থাকা সকল মালামাল ভাংচুর করে বাহিরে ফেলে দিবে। ঘরে কোন ফার্নিচার আস্ত রাখবে না। পরে অসহায় শাহাআলমের অনুরোধে একজন মিডিয়াকর্মী বিষয়টি চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো: মহসিন আলমকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় বখাটে নেশাসেবককারী সজিব রহমান বড় ধরনের কোন ক্ষতিসাধন করতে পারেননি।