শরীফুল ইসলাম :
চাঁদপুর শহর ও আশাপাশের এলাকায় আবাসিক লাইন সংযোগে গ্যাসের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে গ্রাহকদের। কোন ধরণের নোটিশ কিংবা কোম্পানীর পক্ষ থেকে মাইকিং না করায় অনেকে রান্না করতে পারেনি। ফলে হোটেল থেকেই খাবার এনে খেতে হচ্ছে।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল থেকে চুলাতে গ্যাস ধীরে ধীরে কমতে থাকে। সকাল ৯টার পরে আরো সংকট দেখা দেয়। এরপর ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে। সকাল ৯টার পর বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড চাঁদপুর কার্যালয় থেকে খবর নিয়ে জানাগেছে লাইনে সমস্যা এবং মেরামত কাজ চলছে।
গণমাধ্যমেক এই তথ্য নিশ্চিত করেন বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড চাঁদপুর কার্যালয়ের ম্যানেজার মোবারক হোসেন।
গ্যাস সংকটে ভোগান্তির শিকার শহরের মুন্সেফ পাড়ার গৃহিনী সুমনা বেগম বলেন, হঠাৎ গ্যাস সংকটে বিপাকে পড়েছি। যে কারণে আজ দুবেলার খাবার হোটেল থেকে কিনতে হয়েছে। কখন আসবে সেটাও জানিনা।
শহরের চেয়ারম্যান ঘাটের উকিল ভিলার বাসিন্দা ইসরাত জাহান ইভা বলেন, সকালে হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে জানলাম গ্যাস থাকবে না। পরে চুলা জ্বালিয়ে দেখি গ্যাসেরসরবরাহ কম। ২ ঘন্টা শেষ হতো সেই রান্না বিকাল গড়িয়ে গেল। একদিকে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া অন্যদিকে গ্যাসবন্ধ। চরম দুরবস্থায় আছি।
শহরের নিউ ট্রাক রোড এলাকার বাসিন্দা গৃহিনী রাবে আক্তার বলেন, আগে পরে গ্যাস বন্ধ করার আগে মাইকিং হয়েছে। এবার তাও জানতে পারিনি। যে কারণে চরম বিপাকে পড়েছি। সন্তানদের বিদ্যালয়ে যেতে হয়েছে হালকা নাস্তা খেয়ে। এরপর দুপুরের খাবার নিয়ে বিপাকে।
স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাদ্রাসা রোডের বাসিন্দা মঈনুল ইসলাম বলেন, বাসার চুলা বন্ধ। যে কারণে হোটেল থেকে কিনতে হয়েছে। কখন গ্যাস আসবে সে খবরও পাওয়া যায়নি।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড কুমিল্লা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (হিসাব বিভাগ) সৈকত হোসেন জানান, কোম্পানীর চট্টগ্রাম আনোয়ার ও পৌজদার হাট প্রজক্টের পাইপ লাইনে পাটল দেখা দিয়েছে। মেরামত কাজ চলছে। প্রাকৃতিক কোন সমস্যা না দেখা দিলে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।