নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরে পরকীয়া প্রেমের বলি হলো দুই সন্তানের জননী তাসলিমা বেগম। পরকীয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করায় রাতের আঁধারে শ্বাসরোধ ও অতর্কিত হামলা চালিয়ে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী। এ ঘটনায় চাঁদপুর আদালতে মামলা হওয়ার পর অবশেষে মূল হোতা পালবাজারে ব্যবসায়ী মোঃ সরোয়ার হোসেন সেলিমকে আটক করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি স্বামী সেলিমকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এই ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিকা বাবুরহাট রয়েল তাইবা ট্রাভেলস গ্রæপের অ্যাকাউন্ট অফিসার সালমা মিয়াজী মায়া এখনো পলাতক রয়েছে।
গত ৮ জুলাই বুধবার গভীর রাতে চাঁদপুর শহরের জে.এম. সেনগুপ্ত রোডস্থ পৌর মার্কেটের চতুর্থতলায় ভাড়াটিয়া বাসায় পালবাজারের ব্যবসায়ী সেলিম তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে ও অতর্কিত হামলা চালিয়ে হত্যা করে।
সেই ঘটনায় নিহতর তাসলিমার পরিবার মামলা দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে তার বাবা মোঃ ইদ্রিস মিয়া বাদী হয়ে আদালতে সরোয়ার হোসেন সেলিম তার পরকীয়া প্রেমিকা সালমা মিয়াজি মায়াকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। অবশেষে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি সেলিমকে আটক করতে সক্ষম হয়।
মামলার বাদী ইদ্রিস মিয়া জানান, কচুয়া থানার প্রসন্নকাপ এলাকার কলিম উদ্দিনের ছেলে সরোয়ার হোসেন সেলিমের সাথে ১১ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে তাসলিমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সেলিম বিভিন্ন মেয়েদের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। কিছুদিন পূর্বে শহরের মিতালী নামের একটি মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করলে সেই মেয়ের পেটে অবৈধ সন্তান জন্ম হয়। সেই ঘটনায় সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা হলে ২৭ দিন জেল খেটে বেরিয়ে আসে।
পরবর্তীতে সেলিম রয়েল তাইবা গ্রæপের অ্যাকাউন্ট অফিসার সালমা মিয়াজী মায়ার সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনা প্রতিবাদ করলে ঘটনার দিন রাতে সেলিম তার স্ত্রী সালমা বেগমকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে।
অবশেষে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা চেষ্টা করে ও মামলা না দেওয়ার জন্য ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।
পরবর্তীতে আদালতে মামলা হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় সেলিম ও তার পরকীয়া প্রেমিক মায়ার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জোর দাবি জানান পরিবারের স্বজনরা।