নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। এবার দলীয় সমর্থন পেয়েছেন জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান, সদ্য পদত্যাগী প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ইউসুফ গাজীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর সোমবার প্রার্থী পরিবর্তনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদের। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ওবায়েদুল কাদের বলেন, “আমরা ইউসুফ গাজীর পরিবর্তে নতুন করে ওচমান গণি পাটওয়ারীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছি।”
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ”বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদেরের সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবর্তন করে আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারীকে দলের প্রার্থী করা হয়েছে।”
আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারী ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেই নির্বাচনে দলীয় সমর্থন পেয়েছিলেন সাবেক প্রশাসক লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী। কিন্তু তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হওয়ায় শেষ পর্যন্ত দলীয়ভাবে কাউকে আর সমর্থন দেওয়া হয়নি। স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগের ৩জন নেতা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন।
গত ২৩ আগস্ট আসন্ন চাঁদপুর জেলা পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৭ অক্টোবর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে চাঁদপুর জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্টিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান রোববার প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ইউসুফ গাজীর মনোনয়ন বাতিল করেন। ওই প্রার্থী চাইলে এ আদেশের বিরুদ্ধে তিন দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ইউসুফ গাজীও সাংবাদিকদের আপিল করার কথা বলেছেন। তবে আওয়ামী লীগ তার আগেই দলীয় সমর্থন বদলে দিয়েছে।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ গাজী একটি মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত। এ কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।