চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা এক বিবৃতিতে বলেন, গত ১৭ আগস্ট তারিখ হতে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুক পোস্ট ও কিছু অযৌক্তিক দাবিকে কেন্দ্র করে চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটে কিছু নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের অসম্মানসহ মানহানি এবং মিথ্যা অভিযোগ আনেন ১ম বর্ষ (নতুন), ১ম বর্ষ (পুরাতন) ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাষায় মানহানি করা হয়।
পরবর্তীতে ১৮ আগস্ট ১ম বর্ষ (নতুন), ১ম বর্ষ (পুরাতন) ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা কিছু দাবি উপস্থাপন করেছে, যা ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিকট কয়েকটি ভাষার ব্যবহার অযৌক্তিক মনে হওয়ায় ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা এই দাবিতে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করেনি। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষকরা জানতে পারে যে, ১ম বর্ষ (নতুন), ১ম বর্ষ (পুরাতন) ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা এ সকল অযৌক্তিক দাবি ও কার্যকলাপে অত্র প্রতিষ্ঠানেরই কয়েকজন শিক্ষক জড়িত রয়েছে। যার ফলে নার্সিং ইনস্টিটিউট চাঁদপুরের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ মোসাঃ জয়নব বেগম ম্যাম ও উচ্চমান সহকারী মোঃ আল-আমিন এবং সকল ইনস্ট্রাক্টকরা ৩য় বর্ষের শিক্ষাথীদের এ কাজে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যৌক্তিক প্রমান সংগ্রহ করতে বলেন। ৩১ আগস্ট ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যৌক্তিক প্রমান জোগাড় করে এবং তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করে এবং এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানায় পরবর্তীতে ১ সেপ্টেম্বর ১ম বর্ষ নতুন, ১ম বর্ষ (পুরাতন) ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের পদত্যাগের মতো মিথ্যা গুজবের উদ্বুদ্ধ হয়ে ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে চরম মাত্রায় বেয়াদবিসহ মিথ্যা দোষারোপ করে এবং ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের রুম তালাবদ্ধ করে রাখে।
একই দিনে সন্ধ্যার পর শিক্ষকদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের শান্তি রক্ষার্থে ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা সকল মিথ্যা, অভিযোগ মেনে নেয়, কিন্তু তারপরপরই ১ম বর্ষ (নতুন), ১ম বর্ষ (পুরাতন) ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকসহ ৩য় বর্ষের সকল শিক্ষার্থীদের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জের রুমে অবরুদ্ধ করে রাখে রাত ১২.৩০ মিনিট পর্যন্ত। পরবর্তীতে ১ম বর্ষ (নতুন), ১ম বর্ষ (পুরাতন) ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের হোস্টেল ত্যাগের মতো অযৌক্তিক দাবি তুলে ধরে এবং শিক্ষকদের উপর চাপ প্রয়োগ করে। শিক্ষকরা শান্তিপূর্ন পরিবেশ চাইলেও ১ম বর্ষ (নতুন), ১ম বর্ষ (পুরাতন) ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেয়নি। যার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকরা ও কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে নি। ১ম বর্ষ (নতুন), ১ম বর্ষ (পুরাতন) ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ০২/০৯/২০২৪ইং তারিখ দুপুর ১টার মধ্যে ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ে হল ত্যাগ না করায় ১ম ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা নিজ দায়িত্বে হল ত্যাগ করে এবং তারা দাবি জানায় যে, ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা হোস্টেল ত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা হোস্টেলে ফেরত আসবে না এবং প্রতিষ্ঠানের কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে না।
পরবর্তীতে ৩ সেপ্টেম্বর নার্সিং ইনস্টিটিউট চাঁদপুরের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ, সকল ইনস্ট্রাক্টর, সিভিল সার্জন হতে নাসরিন সুলতানা (ADPHN), চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম সোহেল ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ মিয়া আলোচনায় বসেন এবং ইনস্টিটিউটের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, ৩ সেপ্টেম্বর হতে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইনস্টিটিউটের সকল কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে এবং ৯ সেপ্টেম্বর সকল বর্ষের শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে উপস্থিত এবং ইনস্টিটিউটের সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।