নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন পর্যটন কেন্দ্রে থাকা শিশুদের বিনোদনের খেলনা থেকে চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু গ্রুপের সংঘর্ষে ৫জন গুরুতর আহত হয়েছে। সোমবার রাতে বড়স্টেশন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন যুবদল নেতা শাহআলম বেপারী (৩৭), নুরে আলম (৪২), মহিউদ্দিন (২০), জিহাদ (১৮) ও সাব্বির (২৫)। এদের মধ্যে শাহআলম ও জিহাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ঢাকায় প্রেরণ করেন। বাকীরা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহতদের স্বজনরা জানায়, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বড়স্টেশন বিনোদনের রাইডার ও চর্কি ঘোড়ার নাগরদোলা থেকে কোনো প্রকার টাকা (চাঁদা) না নেয়ার জন্য বারণ করেন। কিন্তু গত ৪ দিন আগে ওই এলাকার জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোস্তফা বন্দুকসী, শহর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়া প্রধানীয়া, শহর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফয়েজ, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবির সরকার মিলে ব্যবসায়ী রহিম ও হারুনের কাছ থেকে ১ লাখ করে মোট ২ লাখ টাকা চাঁদা নেন।
বিষয়টি জানতে পেরে ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি জহির ছৈয়াল, সাধারণ সম্পাদক আমিন গাজী, ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, বিএনপি নেতা মাসুম খানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় টাকা নেয়ার বিষয়ে তাদের জিজ্ঞেস করতে যায়।
তারা বলেন, এতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাত প্রায় সাড়ে ৯টার সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগকে সাথে নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে যুবদল নেতা শাহআলম বেপারী (৩৭), নুরে আলম (৪২), মহিউদ্দিন (২০), জিহাদ (১৮), সাব্বির (২৫)সহ প্রায় ১০জনের অধিক আহত হয়।
পরে অন্যান্যরা আহতদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর মধ্যে শাহআলম ও জিহাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। এই হামলায় সময় তাদের পক্ষে ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা রাহুল, ছাত্রলীগের রিয়াদ ঢালী, জয়সহ একাধিক যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলায় ছিল বলে আহতের স্বজনদের অভিযোগ।
এ বিষয়ে যুবদল নেতা জিয়া প্রধানীয়া বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি।প্রয়োজনে আপনার তাদের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন।